
কনওয়েকে বেশি দূর যেতে দেননি এবাদত। ছবি : ক্রিকইফো
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে চতুর্থ দিন ২০.২ ওভারের মধ্যে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রানে অলআউট মুমিনুলের হকের দল।
আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দিনের প্রথম সেশনেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। যোগ করতে পেরেছে আরও ৫৭ রান। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানে অলআউট হয়।
লাঞ্চ ব্রেকের ২০ মিনিট আগে বাংলাদেশকে ৪৫৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। পেসাররা শুরুতে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে আট ওভার পার করে দেন দুই ওপেনার।
অবশেষে নবম ওভারে টম ল্যাথামের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ ল্যাথাম ফিরেছেন ১৪ রান করে।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ডেভন কনওয়েকে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশি দূর যেতে দেননি এবাদত হোসেন ও সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ১৩ রান করে এবাদতের বলে সাদমানের হাতে ক্যাচে পরিণত হয়েছেন কনওয়ে। এবাদত আবেদন করছিলেন লেগ বিফোরের। তবে সাদমানের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তায় ক্যাচ আউট পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৩ রান। তারা এখনও পিছিয়ে ৫৭ রানে। ডানহাতি ওপেনার উইল ইয়ং খেলছেন ৩৬ রানে। তাকে সঙ্গে দিতে এসেছেন অভিজ্ঞ রস টেলর (৬)।
এদিকে ৪ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে নেমে দিনের শুরুতেই ফিরতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ার আউট দিলেও দুবারই রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার রাচিন রবীন্দ্রের বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। পরে রিভিউতে দেখা যায় বল প্যাড স্পর্শ করার আগে লেগেছে মিরাজের গ্লাভসে।
খানিক পর নেইল ওয়েগনারের বলেও আম্পায়ার তাকে আউট দিয়েছিলেন। এবার রিভিউতে দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগে লেগেছে মিরাজের ব্যাটে। বেঁচে গিয়ে দারুণ খেলেছেন তিনি। মেরেছেন চোখ ধাঁধানো কিছু বাউন্ডারি। আরেক পাশে ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি ছিল সাবলীল, খেলছিলেন সতর্ক পথে। জমে উঠছিল জুটি। প্রথম সেশন পুরোটা পার করে দেওয়ার পথেই ছিলেন তারা। ফিফটির কাছে গিয়ে হঠাৎ ছন্দপতন।
লম্বা স্পেলে বল করেও উইকেটবিহীন ছিলেন টিম সাউদি। ভারতে ঠিক আগের টেস্টেও উইকেট না পাওয়া সাউদি হতাশা অবশেষে থামান মিরাজ। অনেক বাইরের বল তাড়া করে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৮৮ বলে ৮ চারে ৪৭ রান করে থামেন তিনি।
তাসকিন আহমেদ জুতসই ব্যাট চালাতে পারায় বাংলাদেশের ইনিংস প্রথম সেশন পার করে দেওয়ার আশায় ছিল। ইয়াসির সলিড ডিফেন্সে দিচ্ছিলেন ভরসা। কিন্তু হুট করে ক্যাজুয়াল এক শটে ফেরেন ইয়াসিরও। কাইল জেমিসনের লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে। ৮৫ বল সামলে ইয়াসির করেন ২৬ রান। ইয়াসিরের বিদায়ের পর আর দেরি হয়নি। বোল্ট-সাউদি বাকি দুই উইকেট তুলে নেন দ্রুত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
(চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত)
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৩ ওভারে ১০/০ (ল্যাথাম ১০*, ইয়ং ০* ; তাসকিন ০/৩, শরিফুল ০/৭, মিরাজ ০/০)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৭৬.২ ৪৫৮ (সাদমান ২২, জয় ৭৮, শান্ত ৬৪, মুমিনুল ৮৮ মুশফিক ১২, লিটন ৮৬, ইয়াসির ২৬ , মিরাজ ৪৭, তাসকিন ৫, শরিফুল ৭, ইবাদত ০* ; সাউদি ২/১১৪, বোল্ট ৪/৮৫, জেমিসন ১/৭৮, ওয়েগনার ৩/১০১, রবীন্দ্র ০/৬৭)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৩২৮