
এবাদতের মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের মূলনায়ক এবাদত ভাসছেন সবার প্রসংশায়। এ কারণে তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির কাঠালতলী গ্রামেও বইছে আনন্দের বন্যা। এবাদতের এমন পারফরমেন্সে পরিবারের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও ভীষণ খুশি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে এবাদত হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারের সবাই মহাখুশি।
আলাপকালে এবাদতের বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও মা সামিয়া বেগম চৌধুরী বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি তার আলাদা টান ছিল। সারাদিন ক্রিকেট খেলত। স্বপ্ন ছিল একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। আজ আমার ছেলে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিতিয়ে সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ওর এমন পারফরমেন্সে আমরাও খুশি। এলাকার মানুষও খুশি।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা তার সব খেলা দেখেছি। নামাজ পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য দোয়া করেছি। সকালে এবাদতের সঙ্গে আমাদের মুঠোফোনে কথা হয়েছে। সে খুব খুশি।’
এবাদতের চাচাতো ভাই দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী ইমন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে গোটা বাংলাদেশের মতো আমরাও গর্বিত, আনন্দিত। এবাদত ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগী। আমাদের বিশ্বাস ছিল সে একদিন দেশের মুখ আলোকিত করবে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে এবাদত।’
এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বর্ডার গার্ডে (বিজিবি) চাকরি করতেন। আর মা সামিয়া বেগম চৌধুরী পেশায় গৃহিনী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে এবাদত দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তার আলাদা টান ছিল। স্থানীয় বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন এবাদত। ভালো বোলিং করতেন বলে এলাকার বাইরেও তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে।
এসএসসি পাশ করে ২০০৮ সালে সৈনিক পদে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবাদত। চাকরির পাশাপাশি বিমান বাহিনীর দলে নিয়মিত ভলিবল খেলতে শুরু করেন। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তার টান মোটেও কমেনি। ২০১৬ সালে রবি পেসার হান্টের শেষ রাউন্ডে ১৩৯.০৯ কিলোমিটার গতিতে বল করে সবাইকে চমকে দেন এবাদত। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। ২০১৯ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবাদতের অভিষেক হয়।