শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারালো কুমিল্লা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫১

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। আগে ব্যাট করে কুমিল্লাকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা।
মিরপুরে ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও স্টিয়ান ভ্যান জিল। তাদের ৩০ রানের জুটি ভাঙে ভ্যান জিলের বিদায়ে। ১২ বলে ২২ রান করে লিয়াম প্লাংকেটের বলে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
তার বিদায়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ডেভিড মালান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩১ রান যোগ করেন মালান-রবি। ১৯ বলে ১৭ রান করে রবি বিদায় নিলে ভাঙে সে জুটি। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সৌম্য সরকার। দলীয় ৭০ রানের মাথায় ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে কক্ষপথে রাখেন মালান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন তারা। রায়ান বার্লের বলে প্লাংকেটের হাতে ধরা পড়া সাব্বির রহমান ১৫ বলে করেন ১৮ রান।
সাব্বিরের বিদায়ের পরপরই আরো দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা।
শেষ ওভারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচটিতে। ৬ বলে দরকার ছিলো ১৬ রান।
প্লাংকেটের প্রথম বল থেকে এক রান নিয়ে ননস্ট্রাইক প্রান্তে চলেন মালান। তবে পরের দুই বলে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারিতে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন আবু হায়দার রনি। শেষ তিন বলে দরকার ছিলো মাত্র ৫ রান। এরপর মালানের রানআউটে খাদের কিনারে পড়ে যায় কুমিল্লা। ১ বলে যখন দরকার তিন রান, তখন নতুন ব্যাটসম্যান মুজিব-উর-রহমান চার মেরে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন।
৫১ বলে ৭৪ রান করেন অধিনায়ক ডেভিড মালান। ৮ বলে অপরাজিত ১২ রান দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আবু হায়দার রনি। অপরপ্রান্তে ১ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুজিব।
৪ ওভারে ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সফলতম বোলার রুবেল হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামকে স্বপ্নের মতো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও জুনাইদ সিদ্দিকী। ১১.৩ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে ১০৩ রান তোলেন তারা। ২টি ছয় ও ৫টি ছয়ে ৩৪ বলে ৫৪ রান করে সৌম্য সরকারের বলে সাজঘরে ফেরেন সিমন্স।
এরপরই ছোটখাটো একটি ধস নামে চট্টগ্রামের লাইনআপে। বিনা উইকেটে ১০৩ রান থেকে ১১৬ রানের মধ্যে পড়ে যায় চারটি উইকেট। সিমন্সের বিদায়ের পরপরই সাজঘরে ফেরেন জুনাইদ। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে রানআউটের শিকার হন তিনি।
দ্রুতই ফিরে যান ওয়ালটন (৯), বার্ল (২) এবং সোহান (৪)। এরপর হাল ধরেন জিয়াউর রহমান। তার ২১ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম।
কুমিল্লার পক্ষে সৌম্য সরকার ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।