
টানা তিন ম্যাচ জিতে চতুর্থ ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে হোঁচট খেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। উড়তে থাকা কুমিল্লাকে ৫০ রানে হারিয়ে চলতি বিপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।
ঢাকার ছুঁড়ে দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে থেমে যায় কুমিল্লার ইনিংসের চাকা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে ইমরুল কায়েসের দল। ইনিংসের তৃতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। দলীয় ১২ রানে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন ফাফ ডু প্লেসিও।
ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। সাথে নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে। দুইজনের অবিচ্ছেদ্য ৭০ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে কুমিল্লা।
দলীয় ৮২ রানে ইমরুল কায়েসের বিদায়ে আবারও ধস নামে কুমিল্লা ক্যাম্পে। ২৩ বলে ২৮ করে বিদায় নেন অধিনায়ক। সঙ্গীর বিদায়ের পর ৩০ বলে ৪৬ করে মাঠ ছাড়েন জয়।
এরপরই নিশ্চিত হয়ে যায় কুমিল্লার পরাজয়। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।
ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন আন্ড্রে রাসেল। দুটি করে উইকেট নেন কয়েস আহমেদ ও এবাদত হোসেন। আর একটি উইকেট পান রুবেল হোসেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কুমিল্লা দলপতি ইমরুল কায়েস। ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে ইনিংস শুরু করেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শাহজাদ।
শুরুতে হোঁচটও খেতে হয় ঢাকাকে। দলীয় ৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন শাহজাদ। উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলার আগে দলের বিপর্যয় সামলানোর গুরুভার কাঁধে তুলে নেন তামিম। ইমরানুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
দলীয় ৫৫ রানে ইমরানকে ছাড়তে হয় তামিমের সঙ্গ। কারিম জানাতের বলে স্টাম্প হারিয়ে ১৫ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে।
এরপর রিয়াদকে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাতে থাকেন তামিম। ৩৫ বলে ৪৬ করে তামিম মাঠ ছাড়লেও উইকেট আগলে থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে ৩৪ বল খেলে তুলে নেন অর্ধশতক।
তার অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসের সাহায্যে কুমিল্লার সামনে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর রাখে ঢাকা।
কুমিল্লার হয়ে দুটি উইকেট নেন তানভীর ইসলাম। একটি করে উইকেট যায় মুস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও কারিম জানাতের ঝুলিতে।