
মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: সংগৃহীত
দল জিতলে ক্রেডিট নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে বিসিবি সভাপতি, কোচ কিংবা বিসিবি পরিচালক, নির্বাচকদের। পরোক্ষভাবে এবারও ক্রেডিট হাতিয়ে নিলেন টানা তৃতীয় মেয়াদে বোর্ড কর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পাপন।
আফগানদের বিপক্ষে তখন সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে দল ও ভক্তরা। এর মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
চোখ ঠিকরে আনন্দ উপচে পড়া ভাবমূর্তিতে বললেন, ‘অথচ আফিফ-মিরাজ-এর খেলারই কথা ছিলো না।’ বিসিবি সভাপতির সবুজ সংকেতেই একাদশে জায়গা পেয়েছেন আফিফ ও মিরাজ। পাপন-এর মন্তব্যে এমন বার্তা লুকিয়ে আছে।
অথচ আইসিসি’র ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বিশ্বের পঞ্চম সেরা বোলার মিরাজ। তাকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন আসারই কথা নয়। একাদশের বাইরে চলে যাওয়ার কথা নয় আফিফ হোসেন-এরও। কারণ আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের আগে ফর্মে ছিলেন তিনিও।
আফগান সিরিজের আগে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। গত বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ওই সিরিজের তিন ম্যাচেই রান পেয়েছেন আফিফ। প্রথম ম্যাচে খেলেন ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ বলে ১৫ রান ও শেষ ম্যাচে ১৭ বলে ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতির পরের কথাগুলো অবশ্য স্বাভাবিক স্বরেই বলেছেন। কথিত ‘পঞ্চপাণ্ডব‘ পরবর্তী বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটে ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো ভক্ত, সংগঠকদের মনে। আফিফ-মিরাজ-এর ম্যাচ জেতানো ইনিংস ও জুটি তাই কিছুটা স্বস্তির।
এছাড়া বিসিবি সভাপতি পাপন বলেছেন, ‘সমূহ বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন আফিফ ও মিরাজ। এটা খুশির খবর, বিপদ থেকে বাঁচার খবর। পুরো ইনিংসে লোয়ার অর্ডারের দুই ব্যাটার ঝুঁকি নিয়ে কোন শট খেলেননি।‘ তাদের পরিণত ইনিংসেও প্রশংসাও করেছেন বিসিবি বস।