জামাল ভূঁইয়ার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের রেফারিদের অনেকে ম্যাচ চালাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। ফলে বাফুফের রেফারিজ বিভাগকে সাইফ স্পোর্টিং ও স্বাধীনতা সংঘের ম্যাচের রেফারি বরাদ্দ করতে গিয়ে খানিকটা গলদঘর্ম হতে হয়েছে।

রেফারিজ বিভাগ শেষ পর্যন্ত সাজ্জাদের হাতে বাঁশি ও বিকাশ, হুমায়নের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। সাজ্জাদ হোসেন ও বিকাশ সরকার গত চার-পাঁচ লিগে গড়ে ২০টি ম্যাচ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অনেক রেফারি সাইফের ম্যাচ বয়কট করলেও আজকের ম্যাচে রেফারিং নিয়ে তেমন অভিযোগ উঠেনি।

সাইফ স্পোর্টিং ৫-১ গোলে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে হারিয়ে রেফারিদের বিদ্রোহের জবাবও ভালো দিয়েছে। আগের ম্যাচের সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিপক্ষে না গেলে ফলাফল তাদের পক্ষেই থাকতো এই ইঙ্গিতও দিল এই ম্যাচের পারফরম্যান্সে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও পরের তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে। সাইফ স্পোর্টিং শেখ রাসেল ও মোহামেডানের কাছে হারের পর চট্টগ্রাম আবাহনীর সাথে ড্র করে। সাইফ স্পোর্টিং ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।

স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ তাদের নিজেদের হোম ম্যাচ রাজশাহীতে বড় ব্যবধানে হেরেছে। প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে চমক দেখালেও পরের চার ম্যাচ থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড নেয় সাইফ। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে সতীর্থের হেডে এমেরি বাইসেঙ্গে হেডে স্বাধীনতার জালে বল পাঠান। চার মিনিট পর এমেকা ওগবাগকে বক্সের ভেতর ফেলে দিলে পেনাল্টির দাবি জানিয়েছিল। রেফারি সাজ্জাদ সেই আবেদন নাকচ করেন। 

২০ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন স্বাধীনতার জয়নাল আবেদীন দিপু। সাইফের গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। ৩৫ মিনিটে দারুণ গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাগ।

বিরতির পরপরই আসরোর গুফোরোভের দুর্দান্ত গোলে স্কোরলাইন ৩-০ হয়। ৪৯ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে একদম গ্রাউন্ড শটে বল জালে জড়ান স্বাধীনতার উজবেকিস্তানের মাভলোনোভ। দশ মিনিট পর দুইবার গোলের সুযোগ নষ্ট হয় স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের। ৬৪ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ তৈরী করেছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু তার বা পায়ের শটে প্রস্তুত ছিলেন স্বাধীনতার গোলকিপার। ৭৩ মিনিটে এমেকা ওগবাগের গোলে স্কোরলাইন ৪-১ হয়। ছয় মিনিট পর এমেকা ওগবাগ নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এটি প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলে তৃতীয় হ্যাটট্রিক। তিন হ্যাটট্রিকই বিদেশি ফুটবলারের।