
সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের অধিনায়ক ও কোচ। ছবি- সংগৃহীত
২০০১ সালে সৌদি আরবে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং ম্যাচে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার। এরপর কেটেছে দীর্ঘ ২১ বছর। এবার ফিফা প্রীতি ম্যাচে আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেটে ফের খেলবে দুই দেশ।
ম্যাচটি সরাসরি সমপ্রচার করবে টি-স্পোর্টস। শক্তিতে দুই দেশের অবস্থান কাছাকাছি। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৬, মঙ্গোলিয়ার ১৮৪।
গতকাল সোমবার সিলেটে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপ ও মঙ্গোলিয়া-দুই দলের পরিকল্পনা ও মনোভাব ভিন্ন রকম হবে। মালদ্বীপ এমন একটা দল, যারা টেকনিক্যালি মেধাবী। তারা বিল্ড-আপের সময় সম্ভবত বেশি ঝুঁকি নেয়। আমার মনে হয়েছে মঙ্গোলিয়া প্রাণ প্রাচুর্য ভরপুর দল। মালদ্বীপের মতো কৌশলী নয়, সম্ভবত ডিরেক্ট ফুটবল খেলে। আমাদের পরিকল্পনা এবং কৌশল মাঠে প্রয়োগের উপর নির্ভর করবে ম্যাচের ফলাফল।’
স্বাগতিক অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কথা, ‘গত ম্যাচের (মালদ্বীপ) ফল নিয়ে আমরা কিছুটা হতাশ। তবে আমাদের এখন সামনের ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। অবশ্যই আমরা জিততে চাই হোম ম্যাচে।’
জামাল ভূঁইয়ার জেতার চ্যালেঞ্জ নিছক কথা নয়। আছে বাস্তবতাও। ইতিহাস তেমনই বলে। ২০০১ সালে দাম্মামে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম দেখায় মঙ্গোলিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ফিরতি দেখায় অবশ্য জিততে পারেনি লাল সবুজের দল। ২-২ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি।
২২ বছর আগের সেই ম্যাচের কথা তুলে ধরলেন মঙ্গোলিয়া অধিনায়ক টিসেন্ড আইয়ুশ। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমার বয়স ছিল ১১ বছর। ২০০১ সালে সেদিন মঙ্গোলিয়ায় ছুটির দিন ছিল। সৌদী আরবের দাম্মামে ৯৪ মিনিটে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল করে ড্র করেছিলাম আমরা। সেদিন আমি খুব চিৎকার-উল্লাস করেছিলাম। আমার ফুটবলার হওয়ার জন্য অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল ওই ম্যাচটি। সেদিন থেকেই মঙ্গোলিয়া জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেছি।
তিনি যোগ করেন, ‘আমি শুনেছি বাংলাদেশের এক নম্বর খেলা ক্রিকেট। আমার দেশে কুস্তি, বক্সিং, জুডো। কিন্তু আমার হৃদয়ে ফুটবলই সেরা। ১৯৯৯ সাল থেকে ফুটবল খেলছি। ২০০৬ সালে জাতীয় দলে খেলা শুরু। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের।’
এতদিনে আরও এগিয়েছে মধ্য এশিয়ার দেশটি। তবে র্যাংকিংয়ের দিকে তাকালে এখনো প্রায় সমশক্তির বলেই মনে হয়। ফিফা র্যাংকিংয়ে মঙ্গোলিয়ার অবস্থান ১৮৪ নম্বরে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দুই ধাপ নিচে।