
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ভক্তের ফোন ভাঙার অভিযোগের তদন্ত করছে মার্সিসাইড পুলিশ। রোনালদো শুধু ফোন আছাড় মেরে ভাঙেননি, জেক হার্ডিং নামের ওই ছেলেটিকে নাকি ‘আঘাত’ করে ‘দাগ ফেলে দিয়েছেন’। এমন দাবি করেছেন জেকের মা সারা কেলি। ১৪ বছর বয়সী জেক প্রতিবন্ধী বলেও জানান তার মা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে গত শনিবার (৯ এপ্রিল) এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১-০ গোলে হারের পর রোনালদো মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় এক দর্শকের ফোন ভেঙে ফেলেন, এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
৩৭ বছর বয়সী রোনালদো পরবর্তীতে নিজের ফেসবুক ও টুইটারে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
মার্সিসাইড পুলিশ বলছে, ‘কথিত এই শারীরিকভাবে আঘাত’ তারা খতিয়ে দেখছে। কর্মকর্তারা এভারটন ফুটবল ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছেন। কোনো অপরাধ ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই বিষয়ে যে কারও তথ্য মার্সিসাইড পুলিশকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল এবং যেকোনো পুলিশি তদন্তে তারা সহায়তা করবে।
এ ঘটনার পর রোনালদো বলেছেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তা কঠিন এবং এমন সময়ে আবেগ সামলানো মুশকিল। তবুও যেকোনোভাবে হোক, আমাদের উচিত শ্রদ্ধা রাখা, ধৈর্য্য ধরা ও তরুণরা যারা ফুটবল ভালোবাসে তাদের সামনে উদাহরণ তৈরি করা। আমি আমার এমন আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। একইসাথে ফেয়ার প্লে ও ক্রীড়াসুলভ আচরণ হিসেবে, যদি সম্ভব হয় আমি চাই এই সমর্থককে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দাওয়াত দিতে।
রোনালদো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে এসব কথা লেখেন।
এদিকে মার্সিসাইড অঞ্চলের সংবাদমাধ্যম লিভারপুল ইকোর সাথে কথা বলেছেন এভারটনের সেই ভক্ত জেক হার্ডিংয়ের মা সারা কেলি। ১৪ বছর বয়সী হার্ডিং মায়ের সাথে গুডিসন পার্কে গিয়েছিল গ্যালারি থেকে প্রথমবারের মতো নিজের প্রিয় ক্লাবের খেলা দেখতে।
সারার দাবি, ‘ম্যাচ শেষে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন। আমরা পার্ক এন্ডে বসেছিলাম। খেলোয়াড়েরা টানেল দিয়ে যাওয়ার সময় ভিডিও করছিল আমার ছেলে। ইউনাইটেডের সব খেলোয়াড়কেই ভিডিও করেছে। রোনালদো মোজাটা নামিয়ে নেওয়ার সময় সে ফোন নিচু করে। কারণ, তার পা দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ফোন নিচু করে ভিডিও করা ছাড়া সে কোনো কথা বলেনি।’
এরপর তিনি বলেৎছেন, ‘রোনালদো পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ংকর রাগ সামলাতে না পেরে আমার ছেলের হাত থেকে ফোনটি কেড়ে আছাড় মেরেছেন।’
সংবাদমাধ্যমটিকে ভাঙা ফোন ও হার্ডিংয়ের হাতের ছবি দিয়েছেন সারা। ছবিতে দেখা যায়, হার্ডিংয়ের হাতের ওপরের অংশে নীলচে কালশিটে দাগ পড়েছে। -বিবিসি