চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
সেমিতে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি

খেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০৩

ম্যানচেস্টার সিটি ও অ্যাতলেতিকোর খেলা চলাকালীন তোলা ছবি। ছবি: টুইটার
কোয়ার্টার ফাইনালের রোমাঞ্চকর দ্বিতীয় লেগের খেলা শেষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে বেনফিকার বিপেক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেও ইংলিশ পরাশক্তি লিভারপুল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ম্যানচেস্টার সিটিও অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির খেলাটি বুধবার রাতে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দলের আগের দেখায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছিল লিভারপুল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় আসরের শেষ চারের টিকিট পেয়েছে দলটি।
অন্যদিকে একই দিনে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয় অ্যাতলেতিকো ও ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয় লেগে গোলশূন্য ড্র করেছে এই দুই দল। প্রথম লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জিতেছিল ম্যান সিটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ অগ্রগামিতায় আসরের শেষ চারে উঠেছে দলটি।
বুধবার বেনফিকার বিপক্ষে গোটা ম্যাচে ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে লিভারপুল। প্রথম লেগের একাদশে সাত পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১৭টি শট নিয়ে তারা লক্ষ্যে রাখে ছয়টি। বিপরীতে, বেনফিকার নেওয়া ছয়টি মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি।
ম্যাচের ২১তম মিনিটে কসতাস সিমিকাসের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ইব্রাহিমা কোনাতে। কিছুক্ষণ পর বেনফিকার দারউইন নুনেজ বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ৩২তম মিনিটে অবশ্য উল্লাসে মাতে সফরকারীরা। ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন গনসালো রামোস।

বিরতির পর আক্রমণে আরও মনোযোগী হয় লিভারপুল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন রবার্তো ফিরমিনো। ৫৫তম মিনিটে বেনফিকার রক্ষণভাগ বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে জোতার পাসে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর ৬৫তম মিনিটে সিমিকাসের দর্শনীয় ফ্রি-কিকে ভলিতে জাল কাঁপান ফিরমিনো।
৭৩তম মিনিটে অ্যালেক্স গ্রিমালদোর পাসে অ্যালিসনকে কাটিয়ে গোল করে ব্যবধান কমান রোমান ইয়েরেমচুক। শুরুতে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। আট মিনিট পর ম্যাচে সমতা টানেন নুনেজ। জোয়াও মারিওর নিখুঁত পাসে নিশানা ভেদ করেন তিনি। এই দফায়ও একই ঘটনা ঘটে। লাইন্সম্যানের অফসাইডের রায় বদলে যায় ভিএআরে।
বুধবারের কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে ম্যান সিটির বিপক্ষে ১১ জন নিয়ে খেলা শেষ করতে পারেনি স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেতিকো। ৯০তম মিনিটে ফিল ফোডেনকে ফাউল করায় ফেলিপে মাঠ ছাড়েন লাল কার্ড দেখে। ম্যাচের ৩৯ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখতে পারে অ্যাতলেতিকো। প্রতিপক্ষের গোলমুখে নেওয়া ১৪টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। অন্যদিকে, ম্যান সিটি দশটি নিয়ে কেবল একটি রাখতে পারে লক্ষ্যে।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে গোলমুখে প্রথম আক্রমণ শানায় ইংলিশ পরাশক্তি ম্যান সিটি। গোটা ম্যাচে কোনো দলই গোল করতে পারেনি।
ফাইনালে ওঠার দ্বৈরথে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। আর ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ।