
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ছক্কা হাকাচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: টুইটার
বয়স
হয়ে গেলেও এখনো যে ম্যাচ
জেতানোর ক্ষমতা রাখেন তা দেখিয়ে দিলেন
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ১৩
বলে ২৮ রান স্বল্প রান মনে হলেও এ রানই চেন্নাই সুপার কিংসকে মুম্বাই
ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছে।
শেষ বলে চার মেরে দলকে
জেতান ধোনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার
(২১ এপ্রিল) আইপএলের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়ে যেতে চেন্নাই ও মুম্বাই মুখেঅমুখি
হয়।
টসে
হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম
ওভারেই চাপে পড়ে যায়
মুম্বই। অনামী পেসার মুকেশ চৌধরীর বলে শূন্য রানে
আউট হয়ে যান রোহিত
শর্মা ও ঈশান কিশন।
তিন নম্বরে নামা ডেওয়াল্ড ব্রেভিসও
রান পাননি। মুকেশের বলের সামনে সমস্যায়
পড়েন তিলক বর্মাও। তার
সহজ ক্যাচ ছাড়েন ডোয়েন ব্র্যাভো। নইলে আরো চাপে
পড়ত পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
তিন
উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে
জুটি বাঁধেন তিলক ও সূর্যকুমার
যাদব। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন সূর্য। বেশ কয়েকটি বড়
শট খেলেন তিনি। কিন্তু ৩২ রান করে
মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন
সূর্য।
শেষ
পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭
উইকেটে ১৫৫ রান করে
শেষ হয় মুম্বাইয়ের ইনিংস।
জবাবে
ব্যাট করতে নেমে চাপে
পড়ে চেন্নাইও। ড্যানিয়েল স্যামসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন
রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান পাননি তিন
নম্বরে নামা স্যান্টনার। দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে
জুটি বাঁধেন রবিন উথাপ্পা ও
অম্বাতি রায়ডু। দু’জনে মিলে
দলের রান এগিয়ে নিয়ে
যেতে থাকেন।
৫০ রানের জুটি বাঁধার পরে
৩০ রানের মাথায় উনাদকাটকে বড় শট খেলতে
গিয়ে আউট হয়ে যান
উথাপ্পা। তারপরে রান তোলার গতি
কিছুটা কমে যায় ধোনিদের।
ভাল বল করেন তরুণ
হৃত্বিক। স্যামসের বলে শিবম দুবে
আউট হয়ে গেলে চাপে
পড়ে যান চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা।
এক দিকে ধরেছিলেন রায়ড়ু।
কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গিয়ে
৪০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান
তিনি। রান পাননি অধিনায়ক
জাদেজাও।
দেখে
মনে হচ্ছিল ম্যাচ হেরে যাবে চেন্নাই।
কিন্তু তখনও উইকেটে ছিলেন
ধোনি। প্রিটোরিয়াসকে সাথে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ
নিয়ে যান তিনি। শেষ
ওভারে জয়ের জন্য দরকার
ছিল ১৭ রান। দু’টি চার ও
একটি ছক্কা মারেন মাহি। শেষ বলে চার
মেরে দলকে জিতিয়ে মাঠ
ছাড়েন ফিনিশার ধোনি।