
বেন স্টোকস। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষ গুঞ্জনই সত্য হলো। বেন স্টোকস হলেন ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক। নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অলরাউন্ডারকে লাল বলের দলের নেতৃত্বে চূড়ান্ত করেন। ৩০ বছর বয়সী স্টোকস ইংল্যান্ডের ৮১তম টেস্ট অধিনায়ক।
দলের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে এই মাসের মাঝে দায়িত্ব ছাড়েন জো রুট। ১৭ টেস্টে মাত্র এক জয়ে তার বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল। নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান। তারই উত্তরসূরি হলেন স্টোকস। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের পর প্রথমবার কোনো অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড।
কি দায়িত্ব নেওয়ার পরপর স্টোকসের সঙ্গে মুখোমুখি বসেন এবং এই অলরাউন্ডার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। স্টোকস বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড টেস্ট দলকে নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়ায় আমি সম্মানিত। এটা সত্যিই বিশেষ প্রাপ্তি। এই গ্রীষ্মে শুরু করতে উন্মুখ আমি।’
পূর্বসূরির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি জোকে ধন্যবাদ দিতে চাই, সে ইংলিশ ক্রিকেটের জন্য যা করেছে তার জন্য। বিশ্বজুড়ে সে ছিল ক্রিকেটের সেরা দূত। ড্রেসিংরুমে একজন নেতা হিসেবে আমার বিকাশে বিশাল অবদান তার। এই ভূমিকায় সে হতে যাচ্ছে আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন।’
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অভিষেক হয়েছিল স্টোকসের, খেলেছেন ৭৯ টেস্ট এবং ২০১৭ সালে হন সহঅধিনায়ক।
উত্থানপতনের ক্যারিয়ারে এক সময় ইংল্যান্ড ক্রিকেট ভক্তদের কাছে এক নম্বর গণশত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন স্টোকস। কিন্তু ২০১৫ সালে ব্রিস্টলের রাস্তায় হাঙ্গামার পর থেকে নিজেকে বদলে ফেলেন।
তার জীবনের সেরা সময় ছিল ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। লর্ডসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে দলের জয়ে উদ্ধারকর্তা ছিলেন তিনি। সপ্তাহখানেক পর অ্যাশেজে হেডিংলিতে বীরত্বগাথা লেখেন।
তবে এরপরই জীবনের সবচেয়ে বড় আঘাত পান স্টোকস, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাবা জেড মারা যান। তার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েন যে লম্বা সময় ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন।
স্টোকসের প্রথম মিশন শুরু হবে তার মাতৃভূমি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে, তিন টেস্ট খেলবে দুই দল। তারপর তারা দেশের বাইরে খেলবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ।