Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

জিদানের সেই বিতর্কিত ভাস্কর্য ফেরাচ্ছে কাতার

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ২১:১৯

জিদানের সেই বিতর্কিত ভাস্কর্য ফেরাচ্ছে কাতার

জিনেদিন জিদানের ঢুস মারার সেই ভাস্কর্য। ছবি : সংগৃহীত

২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল। মুখোমুখি ইতালি ও ফ্রান্স। ম্যাচটির অতিরিক্ত সময়ে এক বিতর্কের জন্ম দেন ফরাসি তারকা জিনেদিন জিদান। ম্যাচের ১০৪ মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মাতেরাজ্জির কিছু বাজে মন্তব্য শুনে মেজাজ হারান জিদান। মাথা দিয়ে সজোরে ঢুস মারে মাতেরাজ্জির বুকে। অমনি মাটিতে পড়ে বুকে হাত দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায় মাতেরাজ্জিকে। 

এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জিদান। পরে টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ইতালি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসের বিতর্কিত ঘটনাটির মধ্যে একটি হয়ে আছে জিদানের এই ঢুস মারার ঘটনাটি।

সেই ঘটনা বিশ্বজুড়ে এতোটাই প্রভাব ফেলে যে, ওই সময় ঘটনাটি জানেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিলই ছিল। 

একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন জিদান। তখন গ্রামের এক নারী জিদানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ফাইনালে কেন অমনটা করলেন? কেন ঢুস মেরেছিলেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে?

জানা গেছে, এবারের বিশ্বকাপে জিদান-মাতেরাজ্জির সেই বিতর্কিত ঘটনা ফিরিয়ে আনছে কাতার। 

সেই ঘটনা নিয়ে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ভাস্কর্যটিতে মাতেরাজ্জিকে জিদানের সেই গুঁতো মুহূর্তটি দেখা যাবে। 

অবশ্য ভাস্কর্যটি ২০১৩ সালেই নির্মাণ করে রেখেছিল কাতার। আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি ভাস্কর আদেল আবদেসসেমেদ এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন। এটি স্থাপনও করা হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি সেটি সরিয়ে ফেলা হয়। 

সে সময় জানানো হয় মুসলিম দেশ কাতারে মূর্তিকে ভালো চোখে দেখা হয় না এবং সহিংসতা উসকে দিতে পারে শঙ্কায় ভাস্কর্যটি তখন সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে এবার বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেই ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার প্রশাসন।

কাতার জাদুঘরের চেয়ারপারসন শেইখা আল-মায়াসা আল-থানি জিদানের ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের ঘোষণা বলেন, ‘সমাজে পরিবর্তন আসে। মানুষ শুরুতে অনেক কিছুরই সমালোচনা করে, কিছু সময় পরে সেটা বুঝতে পেরে তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। জিদান কাতারের একজন অসাধারণ বন্ধু। আরব বিশ্বের জন্য জিদান একজন রোলমডেল।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫