ছবি : সংগৃহীত
সেন্ট লুসিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি
দিয়ে মার্টিনিক হয়ে ডমিনিকা আসার পথে শুরুতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা রোমাঞ্চিত
থাকলেও পরে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন ‘মোশন সিকনেসে’।
সমুদ্রভ্রমণে অবশ্য কারো কারো
এরকম হতেই পারে। আশার কথা, ডমিনিকা আসার পথে যারাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সবাই এখন ভালো
আছেন। দলের লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবাল মুঠোফোন বলেছেন, ‘সবাই এখন সুস্থ। কারো
কোনো সমস্যা নেই। আমি স্থানীয় ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি। ওনারা বলেছেন, এরকম সমস্যা
অনেকের হতে পারে, তবে সেটা সাধারণত ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে কেটে যায়।’
ডমিনিকায় বাংলাদেশ দল আছে রাজধানী
রোসো থেকে সড়কপথে ঘণ্টাখানেক দূরত্বের ক্যাবরিটস রিসোর্টে। আর টি-টোয়েন্টির ভেন্যু
উইন্ডসর পার্ক রোসোতে। আজ শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে সেখানেই অনুশীলন করার কথা বাংলাদেশ
দলের। কিন্তু আটলান্টিকে সৃষ্ট সাইক্লোনের প্রভাবে এখানেও কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি।
বৃষ্টি হয়েছে কাল রাত এবং আজ
সকালেও। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি থাকার কথা কালও। উইন্ডসর পার্কে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট
ইন্ডিজ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা তাই এই মুহূর্তে একটু অনিশ্চিতই বলা যায়। আর বৃষ্টি
যদি শেষ পর্যন্ত বাধাই হয়ে দাঁড়ায়, সেটি হবে ডমিনিকাবাসীর জন্য চরম দুর্ভাগ্যের।
২০১৭ সালে প্রলয়ংকরী হারিকেন
‘মারিয়া’
লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল ডমিনিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু উইন্ডসর পার্ককেও। এরপর
গত পাঁচ বছরে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে পারেনি এই মাঠে। প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে
সংস্কার করা উইন্ডসর পার্কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার কথা বাংলাদেশ দলের দুটি টি-টোয়েন্টি
ম্যাচ দিয়েই। ডমিনিকায় সে কারণেই রোমাঞ্চটা বেশি।
গতকাল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দল ফেরিতে পোর্টসমাউথে পৌঁছানোর পর তাদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহেও সেটি বোঝা গেছে।
ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পরই টেলিভিশন ক্যামেরা হাতে সাংবাদিকদের জটলা। ক্রিকেটারদের সামনে
পেলেই মাইক্রোফোন এগিয়ে দিচ্ছেন। অ্যান্টিগা ও সেন্ট লুসিয়ায় প্রেসবক্সে আসতেন হাতে
গোনা দু-একজন সাংবাদিক, সেখানে এই ঘটনা একটু ব্যতিক্রমই লেগেছে।
উইন্ডসর পার্কে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছে ২০১৭ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান সিরিজে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এসে এমাঠে দুটি ওয়ানডে খেলে দুটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের শুধু দুজন ক্রিকেটারই ছিলেন সেবারের দলে, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান।