
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্য। ছবি- সংগৃহিত
এলো চুল। ছোট্ট চোখের কুটুরি। গায়ের জার্সি। দেখে বোঝা যাবে আর্জেন্টিনার ফুটবলারের প্রতিকৃতি। কিন্তু আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) দাবি, এটা আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্য। যদিও ভক্তদের তাকে চিনতে বেশ বেগই পেতে হচ্ছে।
আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ এবং ভ্যালেন্সিয়া অনূর্ধ্ব-২০ দলের মধ্যকার ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে ম্যারাডোনার ভাস্কর্যটি উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ এবং ‘ওলে’ বলছে, স্থানীয় ভাস্কর্যবিদ রাফা ফেরি ম্যারাডোনার এই ভাস্কর্য বানিয়েছেন। ভাস্কর্যটি এই টুর্নামেন্টে নিয়ে আসার আগে তা মায়োর্কার এলস আরকেস স্টেডিয়ামে প্রদর্শিত হয়। চলতি টুর্নামেন্টের সব ম্যাচেই এই ভাস্কর্য প্রদর্শিত হবে। অংশগ্রহণ করা দলগুলোকে স্বাগত জানানো হবে মহানায়কের ভাস্কর্য দিয়ে।
তবে ম্যারাডোনার এই ভাস্কর্য ভালো লাগার পরিবর্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভক্তরা।
৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে ম্যারাডোনার এক সময়ের সতীর্থ সাবেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার চিনো তাপিয়ার সাথে তুলনা করে টুইটারে একজন লিখেছেন, ওরা এমন এক ভাস্কর্য বানিয়ে ম্যারাডোনাকে সম্মানিত করেছে, যার মুখটা চিনো তাপিয়ার আর চুল সিলভ্যালেস্টার স্ট্যালোনের।
ম্যারাডোনার আরেক জাতীয় দল সতীর্থের মুখের সাথেও এই ভাস্কর্যের মিল খুঁজে পেয়েছেন ভক্তরা। হোর্হে ভালদানো- ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা সাবেক এই ফরোয়ার্ডের কথা উল্লেখ করে এক ভক্তের টুইট, ‘‘ওরা ম্যারাডোনাকে সম্মান জানাতে গিয়ে ভালদানোর ভাস্কর্য নিয়ে এসেছে।’’