
দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন নেইমার
ব্রাজিল দলে এই মুহূর্তে কোনো
অহংকারী খেলোয়াড় নেই। সবাই বন্ধু। তা বয়স যার যাই হোক না কেন। বাইরের কেউ নন, এই দাবি
ব্রাজিল দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারের। তিনি বলেছেন, এই দলে কারো অহংকার নেই। যারা
খেলছে এবং যারা বাইরে থাকছে (রিজার্ভ বেঞ্চে), সবাই ভালো বন্ধু।
নেইমার কথাটা এমন একটা সময়
বলেছেন, যখন প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। গত শুক্রবার রাতে ঘানার বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল
খেলে নেইমারদের ব্রাজিল জিতেছে ৩-০ গোলে। ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে নেইমার নিজে
একটা গোল করতে পারেননি। তবে সতীর্থ রিচার্লিসনকে দিয়ে দুটি গোল করিয়েছেন তিনি।
যদি কেপ্রশ্ন করা হয়, ঘানা-ব্রাজিলের
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় কে? চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারেন, অবশ্যই নেইমার। ক্লাব পিএসজির
হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। পরশু ঘানার বিপক্ষে যেন ক্লাবের সেই ফর্মটাই টেনে এনেছিলেন
নেইমার। পুরো ম্যাচে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছেন। দলকে দিয়েও খেলিয়েছেন।
আক্রমণভাগের দুই সতীর্থ রিচার্লিসন-ভিনিসিউয়াসদের
জন্য প্রথমার্ধেই অন্তত গোটা চারের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন নেইমার। নিজেও শট নিয়েছেন ঘানার
গোলপোস্টে। তার চেয়েও বড় কথা, দর্শকদের মন ভরিয়েছেন অসাধারণ সব ড্রিবলিংয়ে।
বিশ্বকাপের আগে আগে নইেমারকে এমন আগুনে ছন্দে দেখে নিশ্চয়
স্বস্তি পাচ্ছেন ব্রাজিল সমর্থকেরা। হয়তো স্বপ্নের পরিধিও বড় হচ্ছে তাদের। তাদের জন্য আরও সুসংবাদ, নেইমার জানিয়েছেন, তিনি শতভাগ
ফিট থাকলে প্রতিপক্ষের জন্য কাজটা আরও কঠিন হবে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন নেইমার। ঘানার বিপক্ষে জয়ের পর পিএসজি তারকা জানিয়েছেন, এই প্রীতি ম্যাচের আগে অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর কী কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। কাতার বশ্বিকাপ সামনে রেখে সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে
স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুতি নচ্ছিনে পিএসজি তারকা।
ব্রাজিল কোচ তিতের আক্রমণভাগে এখন চার চারজন ফরোর্য়াড—নেইমার, রিচার্লিসন রাফিনিয়ো
ও রর্বাতো ফিরমিনো।
শেষের জনকে ঘানার বিপক্ষে খেলাননি ব্রাজিল কোচ। তবে কাতার বশ্বিকাপে এই চার ফরোর্য়াডকে ঘিরেই যে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ আবর্তিত
হবে, নেইমারের কথায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেল, ‘আমি কাল (ম্যাচের আগের দিন) অনুশীলনে যোগ দিয়েছি। সবাইকে বলেছি দলটাকে লোকে আক্রমণাত্মক দেখতে চায়। লোকে পছন্দ করুক বা না করুক, চার ফরোর্য়াড ও পাকতো আছে আমাদের।
তিনি যোগ করেন, ‘সবাইকে বলেছি, এভাবে (ঘানা ম্যাচরে মতো) খেলতে চাইলে সবাইকে সংঘবদ্ধ হয়ে খেলতে হবে। একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। রক্ষণও সামলাতে হবে, দৌড়াতেও হবে সবাইক। আর যেটা দেখে ভালো লাগছে, এই দলে কারও অহংকার নইে, এটা অহংকার ছাড়া দল, যেখানে সবার মধ্যে ভালো সম্প্রীতি আছ। যারা খলেছে এবং যারা বাইরে আছ, সবাই বন্ধু।’