Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

সবচেয়ে খরুচে বিশ্বকাপ

Icon

মোয়াজ্জেম হোসেনস রাসেল

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৩৪

সবচেয়ে খরুচে বিশ্বকাপ

বিশাল অংকের টাকা খরচ করে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল অনেক দিক থেকেই রেকর্ড করে চলেছে। আশা করা হচ্ছে- আসর শুরু হওয়ার পর থেকে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও গড়বে একের পর এক রেকর্ড। এই যেমন- গত ২১টি আসর মিলিয়ে এবারের আসরটিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। টাকার অংকে যা ২২ লাখ কোটি, এই বিশাল অংকের টাকা খরচ করে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। 

আয়তনে ছোট হলেও এবারের আসরের আয়োজক মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত কাতার। নতুন সব স্টেডিয়ামের সঙ্গে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিপুল অর্থ খরচ করতে হয়েছে দেশটিকে। কাতারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, এবারের ফিফা বিশ্বকাপে কাতার ২২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে! বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ২২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট হওয়ার রেকর্ড গড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৮ সালে রাশিয়া যে পরিমাণ খরচ করেছে, কাতার বিশ্বকাপে তার ২০ গুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭ বিশ্বকাপের একত্রিত খরচকেও ছাপিয়ে গেল ২২তম আসরের খরচ। 

পরিসংখ্যান মতে, এদিকে রেকর্ড পরিমাণ এই ব্যয়ের পেছনে একাধিক কারণ বিদ্যমান। প্রথমত বিশ্বকাপের জন্য নতুন ৮টি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে কাতার, সেখানেই মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে। সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে অনুশীলনের জন্য মাঠও। এ ছাড়া ফুটবলার ও দর্শকদের নানা সুবিধা দিতে বিভিন্ন হোটেল ও পার্কসহ অনেক কিছুই নির্মাণ করতে হয়েছে দেশটিকে।

প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে। নানান দেশের হাজার হাজার দর্শক দেখতে আসবেন এই ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’। তাদের জন্য কাতার তৈরি করেছে উন্নতমানের একাধিক হোটেল। এ ছাড়া তাদের স্টেডিয়ামে যাতায়াতের জন্য পরিবহনেও অনেক অর্থ খরচ করতে হয়েছে। নামানো হয়েছে একেবারে নতুন চার হাজার বাস। এতদিন খরচের দিক থেকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল আসর ছিলো ব্রাজিল বিশ্বকাপ। 

আট বছর আগে ২০১৪ সালের এই আসরের জন্য সেলেসাওরা খরচ করে ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ছিল। অর্থাৎ এবারের আসরের ১৫ ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করেছিল দেশটি। কত অর্থ খরচ করেছে সেই দিকে সবার নজর থাকলেও অংশগ্রহণকারী দলের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল কত প্রাইজমানি পাবে সেটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে ট্রফির পাশাপাশি পাবে ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪১৯ কোটি টাকা! হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে যাদের বিশ্বকাপ স্বপ্নভঙ্গ হবে, সেই রানার্সআপ দল পাবে ৩০ মিলিয়ন ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তৃতীয় হওয়া দলটি পাবে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৭০ কোটি টাকা। আর এবারের আসরের চতুর্থ দলের পকেটে যাবে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫০ কোটি টাকা। যে অর্থ অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা হবে।

কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়া প্রতিটি দল ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৭০ কোটি, রাউন্ড অব সিক্সটিন বা শেষ ১৬-তে বিদায় নেওয়া প্রতিটি দলের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩০ কোটি টাকা।

এ ছাড়া গ্রুপ পর্ব পেরোতে না পারা প্রতিটি দল পাবে ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৯০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপে প্রাইজমানির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। বিগত আসরগুলোর তুলনায় ২০২২ বিশ্বকাপেই প্রাইজমানি বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫