
মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়ার দলের খেলোয়াড়। ছবি: ফিফা
আফ্রিকার প্রতিনিধি মরক্কোর সামনে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। লুকা মডরিচের দেশের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে গ্রুপ এফ-এ বেলজিয়াম, কানাডা ও মরক্কোর সাথে একই গ্রুপে। বিকেল ৪টায় আজ তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ রয়েছে মরক্কো। আল জানোব স্টেডিয়ামে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ক্রোয়েটরা ২০১৮ সালের আসরে মডরিচের নেতৃত্বে রানার-আপ হয়েছিল। ফাইনালে সুপার-ট্যালেন্ট ফ্রান্স দলের কাছে হেরেছিল। সেই বছর তাদের বিশ্ব আসরে দুর্দান্ত প্রতিযোগিতা। এবারের আসরে গতবারের অনেকেই রয়েছে গেছেন কাতারে। সাথে আরো প্রতিভাবান নতুন মুখ যোগ হয়েছে। তাদের সমন্বয়ে এই বিশ্বকাপে গভীরভাবে আরো ভালো কিছু করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া। তাদের লক্ষ্যও সেরকমই।
ইউরোপের প্রতিনিধি ক্রোয়েশিয়া ফিফা সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে ১২তম অবস্থানে থাকা দল। তাদের রয়েছে মডরিচ ও পেরিসিকের মতো গুণমান তারকা খেলোয়াড়রা। যদিও ক্রোয়েশিয়া ২০১৮ সালে রানার্সআপ হিসেবে বিশ্বকাপ শেষ করেছিল। তবে তারা এই বছরের টুর্নামেন্টে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে নয়। তবে তারা এমন একটি দল, যারা লুকা মডরিচের পাসিং ক্ষমতা, ইভান পেরিসিকের রানিং ক্ষমতা এবং তাদের ফরোয়ার্ডদের কয়েকটি গোলের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। ক্রোয়েশিয়ার সত্যিকারের বিশ্বমানের স্ট্রাইকার নেই। তারা কিছু বড় দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তারা এখনো নকআউট পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য মরিয়া অবশ্যই।
মরক্কোর বিপক্ষে তাই তারা পরিষ্কার ফেবারিট। তাদের প্রতিপক্ষের পুরো পিচ জুড়ে গুণমান রয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী লুকা মডরিচের গত বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্সের পরে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। কিন্তু তিনি কি আবার সেই অবস্থান তৈরি করতে পারবেন? সে যখন ভালো খেলে, তখন ক্রোয়েশিয়ান সতীর্থরাও ভালো খেলে। অপর দিকে সেনেগালের পর এই বছর টুর্নামেন্টে আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ র্যাংকিং দেশ মরক্কো। তাদের স্কোয়াডে বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। তারা যোগ্যতা অর্জনে চিত্তাকর্ষক লাগছিল। যদিও তারা এখানে মূল টুর্নামেন্টে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে ভালোভাবে সচেতন থাকবে। দলে রয়েছে হাকিমি ও জিয়েচের মতো মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। বাছাইপর্বে তারা আটটি ম্যাচের মধ্যে সাতটি ম্যাচ জিতেছে।
এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ও ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এখন পর্যন্ত একবারই তারা ১৯৮৬ সালে গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করেছে। এখানে আবার তা করার জন্য তারা একটি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। দলের তারকা খেলোয়াড় হাকিম জিয়াচ। মরক্কোর মূল সমস্যা হলো তাদের সামনে একটি ফোকাল পয়েন্টের অভাব। এন-নেসিরি বা হামদাল্লাহ কেউই তাদের গোল করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ধারাবাহিক নয়। চেলসি উইঙ্গার এই টুর্নামেন্টে চেলসির হয়ে মিশ্র ফর্মে। যদিও দেশের জন্য সুযোগ তৈরি করার মতো তার প্রতিভা রয়েছে। সেটাই তারা আজকের ম্যাচে কাজে লাগাতে চাইবে।