পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনার উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারের পর নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গিয়েছিলো আর্জেন্টিনার। পরের দুই ম্যাচে মেক্সিকো ও পোল্যান্ডকে পরাজিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলতে লিওনেল মেসির দল।
প্রথম ম্যাচে হারের পাশাপাশি গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেলান্টি মিস যেন বার্তা দিচ্ছে ভিন্ন কিছুর। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচে ম্যারাডোনা, মারিও কেম্পেস’র পেনাল্টি মিসের দুই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের মতো শিরোপা জয়ের পথেই কি হাঁটছে আলবিসেলেস্তারা? ১৯৭৮ সালে ১১তম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার ৫টি শহরের ৬টি ভেন্যুতে।
১-২৫ জুন অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে মোট ১৬টি দেশ অংশ নেয়। ২৫ জুন ফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা এবং নেদারল্যান্ড। আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলের ব্যবধানে নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা প্রথমবারের মতো ঘরে তোলে।
১৯৭৮ সালের সেই বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলেন মারিও কেম্পেস। এরপর ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচেও পেনাল্টি মিস করেছিলেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা।
ফিফা বিশ্বকাপের ১৩তম এই আসরটি মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালের ৩১ মে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে ২৪টি দেশ। এই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা। দলের নেতৃত্ব দেন দিয়েগো মারাডোনা।
আর এবার ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও তৃতীয় ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ শেষে ফিফার টুইটারে সেই ১৯৭৮, ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কথা স্মরণ করিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই দুই বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে ম্যারাডোনা, মারিও কেম্পেস পেনাল্টি মিস করেছিলেন। সেই দুই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
এবার যেন সেই অবস্থার দিকেই যাচ্ছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। সে কারণেই এখন সমর্থকদের প্রশ্ন, তাহলে কি এবারও শিরোপা জয়ের পথেই হাঁটছে আর্জেন্টিনা?
গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় কাতার বিশ্বকাপে ৯৭৪ স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচে ২-০ গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলতে জায়গা করে নিয়েছে।
গ্রুপ সেরা হওয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সকে এড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে মেসিদের প্রতিপক্ষ এখন অস্ট্রেলিয়া। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, কি হতে পারে সেটেই দেখার অপেক্ষা ফুটবলপ্রেমীরা।