হার এড়ালেই গ্রুপপর্বের বাধা পেরোনোর সুযোগ ছিল সুইজারল্যান্ডের কাছে। অন্যদিকে, শেষ ষোলোয় উত্তরণ নিশ্চিত করতে সার্বিয়ার সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। দুদলের লড়াইটি যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারে, তা অনেকেই ধারণা করেছিলেন। মাঠের লড়াই যেন সেই ধারণারই সত্যতা প্রকাশ করেছে কেবল। রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে সুইজারল্যান্ড।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) কাতারের দোহার আবু দাহুদ স্টেডিয়ামে গড়ানো ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে দারুণ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। যদিও সার্বিয়া গোলরক্ষক ভানিয়া মিলিনকোভিচ-সাভিচের দৃঢ়তায় গোল হজম করেনি সার্বিয়া। ১১ মিনিটে অবশ্য সার্বিয়াও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। নিতান্ত দুর্ভাগ্যের কারণে গোলের দেখা পাইসরা। আন্দ্রিয়া জিভকোভিচের শট পোস্টে লাগে।

অবশেষে ২০ মিনিটে কাঙ্খিত লিড নেয় সুইসরা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে সার্বিয়ার ডি-বক্সে ঢুকে রিকার্দো রদ্রিগেজের করা ক্রস বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় সার্বিয়া। জিব্রিল সো বল পেয়ে জেরদান শাকিরির বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড।

পাল্টা আঘাত হানতে সার্বিয়াও তেমন বেশি সময় নেয়নি। বাঁ পাশ থেকে ডুসান তাদিচের দারুণ ক্রসে মাথা ছুইঁয়ে গোল দলকে সমতায় ফেরান আলেক্সদান্দার মিত্রোভিচ। ৩৫ মিনিটে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় সার্বিয়ানরা। তাদিচের পাস ডি-বক্সে বিমুদমুক্ত করতে পারেননি সুইস ডিফেন্ডার রেমো ফ্রয়লার। আলগা বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি দুসান ভ্লাহোভিচের।

তবে নিজেদের অগ্রগামিতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সার্বিয়ানরা। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে ডান দিক থেকে সিলভান উইডমারের পাসে কাছ থেকে গোল করে সুইজারল্যান্ডকে আবারও ম্যাচে ফেরান এমবোলো। ফলে ২-২ গোলের সমতায়ই শেষ হয় প্রথমার্ধে।