
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ছবি- সংগৃহীত
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পরাজয়ের স্বাদ পায়নি ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে জোড়া গোল পেয়ে গেল ইংল্যান্ড। ৩৮তম মিনিটে বলিংহ্যামের পাসে জর্ডান হেন্ডারসনের গোলের পর বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে জালের দেখা পেয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তাতে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে ইংল্যান্ড।
তবে নকআউট পর্বের শেষ ষোলোয় আফ্রিকার দেশ সেনেগাল বেশ ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল পেতে পারতো সেনেগাল। পাল্টা আক্রমণে উঠে বৌলায়ে দিয়া বল নিয়ে ইংল্যান্ডের ডি-বক্সে ঢুকলেও, শট নেওয়ার আগে তাকে আটকে দেন ডিফেন্ডাররা। তবে সেনেগালিজরা ম্যাচের শুরু থেকে ইংলিশদের আক্রমণ প্রতিহত করতেই ব্যস্ত ছিল।
অপরদিকে হ্যারি কেইনরা ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বল নিজেদের দখলে রাখলেও সেনেগালের রক্ষণদুর্গে গিয়ে গোলের উদ্দেশে শট নিতে ব্যর্থ হয়। ২১ মিনিটে তারা প্রথম গোলের উদ্দেশে শট নেয়। কর্নার থেকে আসা ক্রস জন স্টোনস অবশ্য ঠিকঠাক হেড দিতে না পারায় সে বল লক্ষ্যে থাকেনি।
পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়িয়েছে সেনেগাল। দিয়াত্তার ক্রস ডি-বক্সে গোলের উদ্দেশে শট নেন বৌলায়ে দিয়া। তবে ইংলিশ ডিফেন্ডারদের বাধায় তার শট পোস্ট পর্যন্ত গড়ায়নি। সুযোগ পান আরেক সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইলা সার। তিনি ব্যর্থ হন পিকফোর্ডকে পরাস্ত করতে। তার শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
৩১ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে সমর্থকদের হতাশ করেন দিয়া। সাকার পাস কেড়ে নিয়ে ইংল্যান্ডের ডি-বক্সে দিয়ার উদ্দেশে পাস দেন সার। গোল বারের বাঁ প্রান্ত থেকে নেয়া দিয়ার শট বাধা পায় পিকফোর্ডের বাম হাতে। ৩৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে দলকে লিড এনে দেন জর্ডান হেন্ডারসন। বাঁ প্রান্তে আক্রমণে উঠে তাকে গোলবারের সামনে বল বাড়িয়ে দেন জুড বেলিংহ্যাম।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো ইংল্যান্ড। ডান প্রান্তে আক্রমণে উঠে বুকায়ো সাকা পেনাল্টি এরিয়ার সামনে থাকা হ্যারি কেইনকে পাস দেন। তবে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শট থাকেনি লক্ষ্যে।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল হজম করে সেনেগাল। মুহুর্তের পাল্টা আক্রমণে সেনেগালিজদের বোকা বানিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান বেলিংহ্যাম। পাস বাড়িয়ে দেন ডান ফিল ফোডেনের উদ্দেশে। তিনি বাড়িয়ে দেন ডানপ্রান্তে প্রায় অরক্ষিত থাকা কেইনের উদ্দেশে। বক্সে ঢুকে বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন কেইন। তাতে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইংলিশরা।