
ট্রেডমার্ক ক্রপ টপ ও মিনি স্কার্ট পড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন ইভানা নোল। ছবি: সংগৃহীত
মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে কাতার। সে কারণে রয়েছে নানা বিধি নিষেধ। প্রকাশ্যে মদ-বিয়ার পান করার মতো খোলামেলা পোষাক পড়াতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তার মাঝেই গ্যালারীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন মিস ক্রোয়েশিয়া।
কাতার বিশ্বকাপের পর্দা ওঠে ২০ নভেম্বর। কাতার মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় আসর শুরু হওয়ার আগেই বিশ্বকাপ দেখতে আসা নারী সমর্থকদের দেওয়া হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ। কাতারে আসা বিদেশি সমর্থকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল খোলামেলা পোশাক না পরতে।
কমপক্ষে কাঁধ ও হাঁটু ঢেকে রাখতে বলা হয়েছিল। নিয়ম না মানলেই জেল হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।
আশ্চর্যজনকভাবে সেই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নোল। ইভানা নোল তার ট্রেডমার্ক ক্রপ টপ ও মিনি স্কার্টে মুগ্ধ করছেন স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের। যার মধ্যে আল জানোব স্টেডিয়ামে নক আউট পর্বের ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামে ক্রোয়েশিয়া।
সেই ম্যাচ দেখতে ট্রেডমার্ক ক্রপ টপ ও মিনি স্কার্ট পড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন ইভানা নোল। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি। যা টিভি সেটের সামনে থাকা দর্শকদের দারুণ আনন্দ দেয়।
এ বিষয়ে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপে তার দেশের জার্সির নকশায় তৈরি বিশেষ পোশাকের জন্য সবার দৃষ্টি ছিল তার দিকে। কাতারে পোশাকের ব্যাপারে বিধিনিষেধ সম্পর্কে ইভানা নোল বলেন, ‘নানা কারণেই আমার খুব মেজাজ খারাপ লাগছিল।
আমি যদি একজন মুসলিম না হয়েও ইউরোপে হিজাব ও নেকাবকে সম্মান করি, আমি মনে করি তাদেরও আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতি, আমাদের ধর্মকে সম্মান করা উচিত। আমাকে পোশাক, বিকিনি পরতে দেয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি এখানে পৌঁছানোর পর যখন দেখলাম তারা পোশাক নিয়ে কোনো সমস্যা করছে না’।
জানা গেছে, শুধু সরকারি ভবন ছাড়া কোথাও পোশাক নিয়ে সমস্যা নেই। গ্রেপ্তারের ঝুঁকি সম্পর্কে ইভানা নোল বলেন, ‘আমি কখনই এমন কিছুতে ভয় পাই না।’ যদিও কাতার তার বিষয়ে তেমন কিছু বলেনি।