
রেফারি সিজিমন মার্সিনিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মাঠে খেলা খেলোয়াড়দের মতোই গুরুত্বপূর্ণ রেফারিরা। তারা সার্বক্ষনিক খেলার দেখভাল করে থাকে। তাদের কারণেই নির্বিঘ্নে খেলাটি শেষ হতে পারে। আবার বিতর্কও ছড়িয়ে থাকে। বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করা রেফারিদের আয় কতো?
সেই প্রশ্নটা অনেকের মাথাতেই ঘুরপাক খায় নিশ্চয়ই। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস এবার রেফারিদের আয়ের একটা হিসেব দিয়েছে। সংবাদপত্রটি জানিয়ে বিশ্বকাপের ডাক পাওয়া প্রতোক রেফারি ‘মৌলিক ভাতা’ হিসেবে পাবেন ৭০ হাজার ডলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়েছে। আর সহকারী রেফারিরা ‘মৌলিক ভাতা’ হিসেবে পাবেন ২৫ হাজার ডলার। একজন ম্যাচ রেফারি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ম্যাচ পরিচালনা করে তিন হাজার ডলার আয় করেন।
প্লে অফ কিংবা ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনা করে পান ১০ হাজার ডলার। রেফারিরা ফিফার সাথে চুক্তি থেকে যে অর্থ আয় করেন, তার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনার অর্থ যোগ হয়। একজন ম্যাচ রেফারি ফাইনালসহ তাঁর জন্য বরাদ্দ করা সব ম্যাচ সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারলে টুর্নামেন্ট থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ ডলার আয় করতে পারেন।
ম্যাচ রেফারির সহযোগী হিসেবে মাঠে দুটি টাচলাইনের দুই পাশে থাকেন সহকারী রেফারি। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ম্যাচের জন্য আড়াই হাজার ডলার পেয়ে থাকেন তারা। প্লে অফ কিংবা ফাইনালে তাদের আয় পাঁচ হাজার ডলার। সব ম্যাচ ভালোভাবে পরিচালনা করে একজন সহকারী রেফারি টুর্নামেন্ট থেকে দেড় লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। যা একটা সম্মানজনক পর্যায়ে পৌছে গেছে।
এছাড়া সহকারী রেফারি গ্রুপ পর্বে ও ফাইনালের ম্যাচ পরিচালনা করে যে পরিমাণ অর্থ পান, চতুর্থ অফিশিয়ালকেও সমপরিমাণ অর্থ দেয় ফিফা। সহকারী রেফারির মতো চতুর্থ অফিশিয়ালও গোটা টুর্নামেন্ট থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ডলার আয় করতে পারেন।
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) দায়িত্বে থাকাদের আয় তিন হাজার ডলার করে। টুর্নামেন্টের পরের ধাপগুলোয় তারা ম্যাচপ্রতি পেয়ে থাকেন পাঁচ হাজার ডলার। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে তারা সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের মতো আয় করেছেন তারা।