
লিওনেল মেসির বিশেষ বুট। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ফুটবলে অপার বিস্ময়ের নাম লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর চলে গেছেন অনেক কিছুর উর্ধ্বে। একটার পর একটা রেকর্ড ভেঙ্গে দারুণ কিছু অর্জন হয়েছে এই খুদে যাদুকরের। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে খেলতে দেখা গিয়েছে বিশেষ বুট পরিহিত অবস্থায়।
এই বিশেষ বুট পায়ে দিয়েই কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলছেন পিএসজির এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিশেষ করে গ্রুপপর্বে মেক্সিকো ম্যাচেও মেসির পায়ে দেখা গিয়েছে সোনালি রঙের বুট। যা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহের শেষ নেই। অবশ্য মেসির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে এই বুট। কালারের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব।
যদিও প্রথমে গুজব উঠে মেসির বিশেষ এই বুটে রয়েছে সোনার অংশ। পরে জানা যায় সেই বুটে সোনা না থাকলেও রয়েছে একাধিক বিশেষত্ব। বুটটির পোশাকি নাম ‘অ্যাডিডাস এক্স মেসি ২০২২ ওয়ার্ল্ড কাপ স্পিডপোর্টাল বুটস’।
মেসির ডান পায়ের বুটে লেখা রয়েছে ‘থিয়াগো ০২.১১.১২ এবং মাতেয়ো ১১.০৯.১৫। অর্থাৎ, তার দুই ছেলের জন্মের তারিখ। মেসির বড় ছেলে থিয়াগোর জন্ম তারিখ এবং মেজো ছেলে মাতেয়োর জন্ম তারিখ। সোনালী রঙের মাঝে কালো রঙের সেই নাম ও তারিখ আলাদা করেই চোখে পড়ছে।
আর একইসাথে বিশেষত্ব রয়েছে বাঁ পায়ের বুটেও। সেই পায়ের বুটে লেখা রয়েছে ছোট ছেলে সিরোর জন্ম তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮। মানে তিন ছেলেই কাতার বিশ্বকাপের মাঠে আছেন লিওনেল মেসির সাথে। রয়েছে তাঁর স্ত্রী আন্তোনেলা রোকোজ্জোর নামও। লেখা রয়েছে ‘আন্তো’।
অর্থাৎ গোটা পরিবারকে সাথে নিয়েই শেষ বিশ্বকাপ খেলতে মাঠে নামছেন। মেসির জন্য তৈরি করা বুটের বিশেষত্ব এখানেই শেষ নয়। দুটি বুটেই লেখা রয়েছে মেসির জার্সি নম্বর ১০। রয়েছে আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকার রঙে নীল-সাদা স্ট্রাইপ।
বুটটিরে প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাডিডাসের লোগো ছাড়াও রয়েছে মেসির নিজস্ব ব্র্যান্ডের লোগোও। সব মিলিয়ে অনন্য আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসির বিশ্বকাপ বুট! এই বুট পায়ে দিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের প্রতিটা পর্বেই গোল করেছেন মেসি।
সবমিলিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। পরের বিশ্বকাপে হয়তো আর দেখা যাবে না আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। কাতার বিশ্বকাপের আগে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। নিজের শেষ বিশ্বকাপ তাই রাঙিয়ে রাখতে চান মেসিও।