
বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ জয়ী দলকে বরণ করে নিতে বুয়েন্স আয়ার্সে মানুষের ঢল নেমেছিল। টিওয়াইসি স্পোর্টসের খবর, ৫০ লাখ সমর্থক জড়ো হয়েছিল আর্জেন্টিনার রাজধানীতে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘বুয়েনস আয়ার্স টাইম’ জানিয়েছে, মানুষের তীব্র চাপে আহত হয়েছেন অনেকে। তাছাড়া বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষও হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) কাতার থেকে দেশে ফেরে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। এজেইজা বিমানবন্দরে নেমে বিশ্রামের পর ছাদখোলা বাসে ট্রফি প্যারেড শুরু করেন লিওনেল মেসিরা। তৃতীয় শিরোপা নিয়ে ফেরা দলকে সংবর্ধনা জানাতে আর্জেন্টিনার রাস্তায় রাস্তায় অবস্থান নেন আর্জেন্টাইনরা। মেসিদের দেখতে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সেও জনতার ঢল নামে।
বুয়েন্স আয়ার্স টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের ভিড়ে ৩১ জন আহত হয়েছেন। আলবার্তো ক্রেসেন্তি নামের এক নিরাপত্তাকর্মী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আহত লোকদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে গুরুতর জখম হয়নি কেউ।’
বুয়েন্স আয়ার্স টাইমস জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। ফুটবলারদের ট্রফি প্যারেড দেখতে রাজধানীর ওবেলিস্ক স্মৃতিস্তম্ভে ঢুকে যান সমর্থকরা। স্মৃতিস্তম্ভটির চূড়ায় পৌঁছে যায় অনেকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ নামানো হয়। এসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশ্যে বোতল ও পাথর ছুঁড়তে থাকে ওবেলিস্কে ওঠা দর্শকরা। এছাড়াও বুয়েন্স আয়ার্সে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমগুলো।
অভিযোগ রয়েছে, শিরোপা উদযাপনে এসে গাড়ির টায়ার চুরি, ট্রাফিক লাইট এবং ল্যাম্পপোস্টের ক্ষতি করেছে আর্জেন্টাইনরা।
ছাদখোলা বাসে ওবেলিস্কে যাওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা দলের। তবে বুয়েন্স আয়ার্সের স্মৃতিস্তম্ভের আশপাশে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। ট্রফি প্যারেড সম্পন্ন না করেই হেলিকপ্টারে করে ফুটবলারদের এজেইজায় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রফি প্যারেড পরিকল্পনামাফিক সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘যে নিরাপত্তা দল আমাদের সাথে ছিল, তারা ওবেলিস্কে অপেক্ষমাণ জনতার কাছে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি আমাদের। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে হাজারবার ক্ষমা চাইছি আমি।’
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল্লা চেরুত্তি টুইট করেন, ‘জনতার আনন্দ-উল্লাসের মাঝে রাস্তায় খেলোয়াড়দের নিয়ে আসা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই তাদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে আনা হয়।’