Logo
×

Follow Us

খেলাধুলা

মরক্কোও পেল দারুণ সম্মাননা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:২৬

মরক্কোও পেল দারুণ সম্মাননা

মরক্কোতে ফিরেছেন হাকিম জিয়াশ-আশরাফ হাকিমিরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশে ফিরে বীরোচিত অভ্যর্থনায় ভেসে গেলেন হাকিমি-বুনুরা। বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে মরক্কোতে ফিরেছেন হাকিম জিয়াশ-আশরাফ হাকিমিরা। দেশে ফিরে মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ কর্তৃক সংবর্ধনা পেয়েছেন বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়া ওয়ালিদ রেগরাগির শিষ্যরা। 

কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছে মরক্কো। অভাবনীয় সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরে রাজসিক অভ্যর্থনা পেয়েছেন জিয়াশ-হাকিমিরা। মরক্কোয় তাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এরপর রাবাতের রাজপ্রাসাদে মরক্কো জাতীয় দলকে বরণ করে নেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। ক্রাউন প্রিন্স মৌলা আল হাসান এবং প্রিন্স মৌলা রশিদকে নিয়ে ফুটবলার, কোচিং স্টাফদের রয়্যাল উইসাম বা পদক প্রদান করেন সম্রাট ষষ্ঠ মোহাম্মদ।

‘সেকেন্ড ক্লাস অর্ডার অব দ্য থ্রোন উইসাম’ বা কমান্ডারের পদমর্যাদা দেওয়া হয় মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ফাওজি লেকজা এবং কোচ ওয়ালিদ রেগরাগিকে। এছাড়া খেলোয়াড়দের ‘থার্ড ক্লাব অর্ডার অব দ্য থ্রোন উইসাম’ বা অফিসারের সম্মাননা প্রদান করেন মরক্কোর সম্রাট। রাজপ্রাসাদে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মরোক্কান ফুটবলারদের মায়েরাও উপস্থিত ছিলেন। পদক প্রদানের পর সম্রাট ষষ্ঠ মোহাম্মদ, ক্রাউন প্রিন্স মৌলা আল হাসান এবং প্রিন্স মৌসা রশিদের সাথে ফুটবলার এবং তাদের মায়েরা স্যুভেনির (স্মারক) ফটোশুট করেন। অনুষ্ঠানে মরক্কোর ফুটবলাররা রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদকে স্মারক উপহার প্রদান করেন। 

কাতার থেকে দেশে ফেরেন মরোক্কান ফুটবলাররা। বিমানবন্দরে হাকিমি-জিয়াশদের বরণ করে নিতে হাজারো সমর্থকের ঢল নামে।

খেলোয়াড়দের ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ফুটবল প্রেমীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন রাস্তার দুই পাশে। ছাদখোলা বাসে মরক্কোর দুই শহর সেইল এবং রাবাত প্রদক্ষিণ করেন দেশের জন্য গর্ব বয়ে আনা ফুটবলাররা। বিশ্বকাপে ছাপ রেখেছে মরক্কো। কাতার আসর শুরুর আগে সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট নিয়ে একটি জরিপ করা হয়। মরক্কোর ফাইনাল খেলার পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ০.০১ শতাংশ। আফ্রিকার একটি দেশ, যারা এর আগে মাত্র একবারই বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলতে পেরেছে, তাদের পক্ষে বাজির রেট কম থাকাই স্বাভাবিক। ক্ষীণ আশাকে জোর সম্ভাবনায় রূপ দিয়ে ফাইনাল খেলতে না পারলেও সমর্থকদের হতাশ করেনি মরক্কো।


আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে বিশ্বমঞ্চে সেমিফাইনালে লড়েছে মরোক্কানরা। হারিয়েছে বেলজিয়াম, স্পেন এবং পর্তুগালের মতো হেভিওয়েট দলকে। যদিও কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোনোই ছিল মরক্কোর প্রাথমিক লক্ষ্য। কিন্তু আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েচ-ইয়াসিন বুনুদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নতুন ইতিহাস গড়ে দ্য অ্যাটলাস লায়ন্সরা। আফ্রিকা ও আবর বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে মরক্কো। তবে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে চতুর্থ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ওয়ালিদ রেগরাগুইর দলকে। নিজেদের ইতিহাসে সেরা অর্জন করায় মরক্কোর ফুটবলারদের বীরোচিত সংবর্ধনা দেন দেশটির জনগণ। রাজধানী রাবাতে ছাদখোলা বাসে শহর প্রদক্ষিণ করে দ্য অ্যাটলাস লায়ন্সরা। এসময় দলের জার্সি পরে এবং পতাকা হাতে রাস্তার দুপাশে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাবাতের রাস্তা ছাপিয়ে অলিগলিতে অবস্থান নেন অনেক সমর্থক। নিরাপত্তার কারণে অন্তত আট হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে বিশ্বকে চমকে দেয় মরক্কো। বিশ্বকাপে বেলজিয়াম-ক্রোয়েশিয়াকে পেছনে ফেলে এফ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হন আশরাফ হাকিমি-হাকিম জয়েচরা। রাউন্ড অব সিক্সটিনে স্পেন এবং শেষ ষোলোতে পর্তুগালকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ওঠে মরক্কো। কিন্তু ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫