
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ শেষে এখন সেরা একাদশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ৩২টি দলের জমজমাট লড়াই প্রত্যক্ষ করেছেন কোটি কোটি ফুটবলপ্রিয় মানুষ। কত চাওয়া-পাওয়ায় অমিল হলো। কত আশা পেল পূর্ণতা। কেউ নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কিছুই পেলেন না, কেউ-বা সব পেলেন। বিশ্বকাপে কারা ভালো খেললেন- তা নিয়ে এখন আর কোনো বিতর্ক নয়। আসুন এক কাজ করা যাক। আমরা বরং একটু সময় নিয়ে বাছাই করে ফেলি এই বিশ্বকাপের সেরা একাদশ। আশা করি এই একাদশ নিয়ে কারো বিতর্ক থাকবে না।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (গোলরক্ষক)
সন্দেহাতীতভাবে এবারের বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন তিনি। শুধু টাইব্রেকার নয়, ম্যাচের মধ্যেও তিনি দুরন্ত গোল বাঁচিয়েছেন। সোনার দস্তানা জিতেছেন মার্টিনেজ। তাই তাকেই গোলরক্ষকের ভূমিকায় রাখা হলো।
গোয়ার্দিওল (সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার)
ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও রক্ষণে খুব ভালো খেলেছেন গোয়ার্দিওল। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন তিনি। প্রতিপক্ষকে আটকাতে তার ওপরই ভরসা দেখান কোচ।
রোমান সাইস (সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার)
এবারের প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালের আগে একটি আত্মঘাতী গোল ছাড়া কোনো গোল খায়নি মরক্কো। তার অন্যতম কারণ সাইস। তিনি দুর্দান্ত খেলেছেন। শুধু ভালো ডিফেন্স করা নয়, সেট পিস থেকে গোল করার ক্ষেত্রে সাহায্যও করেছেন।
আশরফ হাকিমি (রাইট ব্যাক)
এবারের বিশ্বকাপের চমক মরক্কোর এই ফুটবলার। রাইট ব্যাকে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। সেমিফাইনালে এমবাপ্পেকে আটকাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণ তৈরি করতেও সমান পারদর্শী।
থিয়ো হের্নান্দেস (লেফট ব্যাক)
শুরুর দিকে ফ্রান্সের এই ফুটবলার ছিলেন সাইড বেঞ্চে। কিন্তু তার পরে আর তাকে আটকানো যায়নি। ফ্রান্সের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন। সেমিফাইনালে মরক্কোর বিরুদ্ধে প্রথম গোল তার পা থেকেই আসে।
ভিনিসিয়াস জুনিয়র (লেফট উইং)
অনেকের কাছে এবারের আসরের বিরক্তিকর ফুটবলার হলেও নানা কারণে তিনি অনন্য। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও নজর কেড়েছেন ভিনিসিয়াস। বাঁ প্রান্ত ধরে তার একের পর এক দৌড় বিপক্ষকে সমস্যায় ফেলেছে। গোলের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি গোলও করেছেন তিনি।
আঁতোয়া গ্রিজম্যান (রাইট উইং)
ফ্রান্সের এই ফুটবলার দলের হয়ে খেলা তৈরি করেছেন। তার কাছ থেকে বল পেয়েই একের পর এক গোল করেছেন এমবাপ্পে। ফাইনালে খুব একটা ভালো খেলতে না পারলেও তাকে দলের বাইরে রাখা যাবে না।
লুকা মডরিচ (মিডফিল্ডার)
ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়কের বয়স এখন ৩৭ বছর। নিজের শেষ বিশ্বকাপে মনে রাখার মতো খেলেছেন। এই ফুটবলারের ওয়ার্ক রেট অবাক করেছে সবাইকে। যেমন আক্রমণে বল বাড়িয়েছেন, তেমনই নিজের বক্সে গিয়ে বল বাঁচিয়েছেন। মাঝমাঠে নেতার ভূমিকায় উঠে এসেছেন তিনি।
এনজো ফের্নান্দেজ (মিডফিল্ডার)
বিশ্বকাপের এমার্জিং ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন। এবারের আর্জেন্টিনা দলের চমক বলা যেতে পারে তাকে। গোলটা ভালো চেনেন। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করতে পারেন। আগামী দিনে তারকা হয়ে ওঠার সব গুণ রয়েছে তার।
কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফরোয়ার্ড)
এবারের বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ৮ গোল করেছেন। তার মধ্যে ফাইনালে হ্যাটট্রিক রয়েছে। সোনার বুট জিতেছেন। তার গতি, ড্রিবল প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলে। তিনি এ দলের স্ট্রাইকার।
লিওনেল মেসি (ফরোয়ার্ড)
বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার। ৭টি গোল করেছেন। ৩টি করিয়েছেন। নিজের শেষ বিশ্বকাপ জিতেছেন। এই বয়সেও যা খেলেছেন তা অবাক করেছে সবাইকে। এমবাপ্পের পাশে একমাত্র তিনিই থাকবেন। সেরা একাদশের অধিনায়কও তিনিই।