দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে রীতিমত নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী। প্রতিটি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দামই কয়েক দফায় বেড়েছে। বর্তমানে এ দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল (খাওয়ার বড়ি) প্যাকেটের গায়ের মূল্যের তুলনায় দেড় থেকে দুই গুণ দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। যা আগে ছিল ১৩ টাকার মত। কনডমের বাজারেও একই অবস্থা। দুই বছর আগেও যে কনডমের দাম ৬ টাকা ছিল দেড় মাস আগে সেই একই কনডমের দাম ওঠেছে ১০ টাকায়। বর্তমানে ১২ টাকার নিচে বাজারে কোনো কনডম পাওয়া যায় না।

এদিকে, প্রেগন্যান্সি টেস্ট কীটের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতিটি কিট বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ২০ টাকা বেশি দামে। বর্তমানে ৮০ টাকার কমে কোনো কিট বাজারে নাই। কিছু কিটের দাম ১২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার এক ফার্মেসির মালিক হাশেম আলি বলেন, বাজারে ওষুধের দামের পাশাপাশি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বেড়েই চলছে। পিল-কনডমের বাজারই নয়, প্রেগন্যান্সি টেস্টের কিটও অনেক বেড়েছে।

একই এলাকার ওষুধের দোকানি আব্দুল কাদের বলেন, পাইকারিতে আমরা কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে কিনে থাকি। তাহলে খুচরা পর্যায়েও বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়। এ অবস্থা জন্মনিয়ন্ত্রণের সকল সামগ্রীর। মানুষেরও কিছু করার নেই সব কিছুর দামইতো বাড়তি।