
পেঁয়াজ। ছবি: সংগৃহীত
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫-১৫ টাকা। আজ সোমবার (৫ জুন) সকাল থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরাতে যা ৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল বর্তমানে তা কমে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে আসবে দাবি ব্যবসায়ীদের। এদিকে দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
সোমবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে তারপর পেঁয়াজ কিনবেন বলছেন সাধারণ ভোক্তারা। একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৫ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম এটি সিন্ডিকেট ছাড়া কিছু না, যে জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং দরকার বলেও জানান ক্রেতারা।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সৈকত আলী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে এমন সংবাদে মোকামগুলোতে কমেছে দাম। আমরা পাবনা, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি এবং বিরামপুর থেকে পেঁয়াজ পাইকারি কিনে এনে হিলি বাজারে বিক্রি করি। মোকামগুলোতে দাম কমেছে, যার ফলে আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। তবে আগের তুলনায় বাজারে ক্রেতা অনেক কম। বর্তমানে হিলি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে আরও দাম কমবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ইতোমধ্যে এলসির জন্য আবেদন করেছে। সোমবার দুপুরের মধ্যে যদি পেঁয়াজ আমদানি ইমপোর্ট পাওয়া যায়। তাহলে বিকেলের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। যেহেতু সামনে কোরবানির ঈদ। এই ঈদে যেন বাজারে পেঁয়াজের দাম না বৃদ্ধি হয়, সেই লক্ষে আমদানিকারকরা বেশি বেশি এলসি করেছে। আশা করা যায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যেই থাকবে।
প্রসঙ্গত, দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এতে করে ১৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের সবগুলো স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে গতকাল রবিবার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) থেকেই পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি দেয়া হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।