
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টির অজুহাতে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজি, মাছ, ও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। সপ্তাহজুড়ে দেশে ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ একটি ডিমের দাম ১৫ টাকা। আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চিত্র দেখা গেছে।
যেখানে গত সপ্তাহেও ডিমের হালি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। অর্থাৎ এক পিস ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের শত বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।
ডিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগুন লেগেছে চাল-পেঁয়াজ-রসুনের দামেও। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা। রসুনের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।
গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজও কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
এক মাছ বিক্রেতা বলেন, বাজারে সব মাছের দাম বাড়তি। ইলিশ মাছের দাম বেশি থাকায় অন্য মাছের দামও কমছে না। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশি থাকায় মাছের দাম বেড়েছে।
দাম বেড়েছে সব মাছের। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি রূপচাঁদা ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, ইলিশ ১৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা, কোরাল ৯০০ টাকা, রুই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় ৮০০ টাকা, বাইলা ১৪০০ টাকা, পুঁটি ১২০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, চিংড়ির মধ্যে বড় চিংড়ির কেজি ৮০০ টাকা। ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাঝারি মানের পাবদা। শিং ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা ও কই ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম বাড়লেও বাজারে মুরগির দাম অনেকটা স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি বা কক মুরগির কেজি ৩২০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।