
চীন, ভারত, পাকিস্তান, দুবাই, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসে ফিলিস্তিনের কেফিয়াহ রুমাল। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর বাংলাদেশে বেড়েছে ফিলিস্তিনের কেফিয়াহ রুমাল ও পতাকা বিক্রি।
রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ও গুলিস্তান এবং চকবাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের কেফিয়াহ রুমাল ও পতাকা বিক্রি বেড়ে গেছে। এগুলো বেশি বিক্রি হয় ফিলিস্তিনের সমর্থনে সভা-সমাবেশ কর্মসূচির আগে।
দেশের বাজারে সাধারণত আমদানি করা কেফিয়াহ বিক্রি হয়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন স্থানীয়ভাবে অনেকেই এটি তৈরি করে বাজারে ছাড়ছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ফলে দেশে কেফিয়াহর বিক্রি গত এক মাসে ১০ গুণের মতো বেড়েছে। কেফিয়াহ আসে চীন, ভারত, পাকিস্তান, দুবাই, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশ থেকে।
‘লাগেজ পার্টির’ মাধ্যমেও কেফিয়াহ আসে। আমদানি করা কেফিয়াহর স্বল্পতার পাশাপাশি দাম বেশি হওয়ার কারণে দেশে তৈরি কেফিয়াহর বিক্রি বেড়েছে। দেশে তৈরি কেফিয়াহর চাহিদা বেশি ঢাকার বাইরে।
ঢাকার কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, যুদ্ধের আগে তাঁরা মাসে ১৫–২০টি কেফিয়াহ বিক্রি করতেন। গত এক মাসে প্রতিদিন ২০০–৩০০টি বিক্রি হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা আগে মাসে ২০০–৪০০টি কেফিয়াহ বিক্রি করতেন। গত এক মাসে বিক্রি হয়েছে দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজারের মতো।
একেকটি বিদেশি কেফিয়াহর দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। ভালো মানের কেফিয়াহ দুই হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়ে থাকে। অন্যদিকে দেশি কেফিয়াহ মিলছে ২০০–৬০০ টাকায়।
এদিকে গুলিস্তানের আশপাশে ও চকবাজারে ফিলিস্তিনের পতাকা আকারভেদে ১০০-৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে নিজেদের পছন্দমতো আকারের পতাকাও তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন।