Logo
×

Follow Us

পণ্যবাজার

বাংলাদেশে রপ্তানি করতে না পেরে পচে যাচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:২৯

বাংলাদেশে রপ্তানি করতে না পেরে পচে যাচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ

সীমান্তে আটকে আছে পেঁয়াজবাহী কার্গো ট্রাক। ছবি- দ্য টেলিগ্রাফ

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। ভারতের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোতে আটকে পড়েছে পেঁয়াজবাহী কার্গো ট্রাক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরাও। ছাড়পত্র না পাওয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে এসব পেঁয়াজ ইতিমধ্যে পচতে শুরু করেছে ট্রাকের ওপরেই।

আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশের যে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের অর্ডার দিয়েছিলেন, তাদের অর্ডার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অপেক্ষায় আছে কমপক্ষে ১০০ কার্গো ট্রাক। অপেক্ষায় থাকা এ পেঁয়াজের পরিমাণ ৩ হাজার টনের ওপরে। এসব পিয়াজ নিয়ে ট্রাকগুলো সীমান্তে আসার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সীমান্তে আটকে যায় ট্রাকগুলো। এসব পেঁয়াজে ইতিমধ্যে পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে ১০০ কার্গো ট্রাকে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অর্ডার দিয়েছিলেন বাংলাদেশিরা। এ পরিমাণ পেঁয়াজ নিয়ে স্থলবন্দরে পৌঁছামাত্র ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালক আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ৮ ডিসেম্বর। 

একজন রপ্তানিকারক বলেছেন, আরও কমপক্ষে ১ হাজার ট্রাক পেঁয়াজ সীমান্তের পথে রয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। সব স্থলবন্দরে এ নিষেধাজ্ঞা এক রকম নয়। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর পেট্রোপোলে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে অর্ডার পেয়েছিল। পরিস্থিতি উত্তর ২৪ পরগনার বশিরহাটের কাছে গজলডাঙ্গা স্থলবন্দরে ভিন্ন। সেখানে নাসিক থেকে পেঁয়াজবোঝাই প্রায় ৩০টি কার্গো ট্রাক ৮ ডিসেম্বর থেকে আটকে আছে। মালদার মাহাদিপুর স্থলবন্দরের ভেতরে ৭০টি এবং বাইরে ৮০টি কার্গো ট্রাক অপেক্ষায় আছে। 

এক রপ্তানিকারকের এজেন্ট গজলডাঙ্গা বন্দরে বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে উদ্বিগ্ন অবস্থায় অপেক্ষা করছি। কেন্দ্রীয় সরকার শিপমেন্টের বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স না দিলে রপ্তানি বিল পাবো না। বড় রকমের লোকসান হবে। চালানের অনেকটাই এরই মধ্যে পচে যাওয়া শুরু করেছে। 

রপ্তানিকারক ও ক্লিয়ারিং এজেন্টরা বলেছেন, আকস্মিক এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি আমদানিকারকরা সরকারের নির্দেশ কার্যকর হওয়ার আগেই তাদের অর্ডার দিয়েছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫