
বেড়েছে খেসারি ডাল ও রসুনের দাম। ছবি: সংগৃহীত
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বেড়েছে খেসারি ডাল ও রসুনের দাম। রমজানের আগে দুইটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০ টাকা বেশি দামে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, শান্তিনগর বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, রামপুরা, হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজার, নয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে বেশ আগে থেকে আদা, রসুনের দাম বাড়তি। একই অবস্থা ছোলাসহ বিভিন্ন প্রকার ডালের দামের ক্ষেত্রে। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। রোজার আগে আর এসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা কম বলেই জানান ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় মসলার বাজার শ্যামবাজার। এখানকার আগে প্রতি কেজি রসুন পাইকারিতে বিক্রি হতো মানভেদে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি দাম ছিলো চীনের আমদানি করার রসুনের। কম ছিলো দেশি রসুন। তবে বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আদা আগের মতো মানভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও রসুন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি খেসারির ডালের দাম ছিলো ১০০ থেকে ১১০টাকা। এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০টাকা কেজি দরে। এবার রমজানের বেশ আগেই ছোলার দাম বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি। প্রতি কেজির ডালের দাম ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
অন্যান্য ডালের মধ্যে প্রতি কেজি মোটা, মাঝারি ও সরু দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি অ্যাঙ্কর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। আর মুগ ডালের কেজি পড়ছে ১৩০ থেকে ১৮০টাকা।
আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের চড়া দামের কারণে এবার ডালের দাম বেশি। বাংলাদেশ পাইকারি ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি মাহমুদ বলেন, ডালের আমদানি খরচ বাড়ছে। ডলারের দামের কারণে এ অবস্থা। তবে এরই মধ্যে রমজানের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ডাল দেশে আমদানি হয়েছে। রমজানের মধ্যে নতুন করে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই, কমার সম্ভাবনা কম।