সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম-ব্রয়লার মুরগি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫
ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। ছবি: সংগৃহীত
উৎপাদক, পাইকারি ও ভোক্তা তথা খুচরা পর্যায়ে ডিম, সোনালি মুরগি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তবে বেঁধে দেয়া দামে সোনালি মুরগি মিলছে না ডিম-ব্রয়লার মুরগি।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পরও ডিমের দাম বেড়েছে। প্রতি পিস ডিমের জন্য ক্রেতাদের প্রায় আড়াই টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে এক পিস ডিম ১৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এক হালি (৪টি) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আর এক ডজন (১২টি) ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-১৯৫ টাকা। অর্থাৎ সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির জন্য ক্রেতাদের কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। তবে সোনালী মুরগি সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সোনালী মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, গতকাল এক ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি করেছি। আজ পাইকারিতে ডিমের দাম আরও বেড়েছে। বাড়তি দামে কিনে আনার কারণে আজ ডিমের ডজন ১৬৫ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই।
সরকার তো খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে হিসেবে এক ডজন ডিমের দাম ১৪৩ টাকার বেশি হওয়ার কথা না। এমন কথা বললে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমরা কম টাকায় কিনতে না পারলে কমে বিক্রি করবো কীভাবে? ডিম বিক্রি করে আমাদের খুব একটা লাভ হয় না। আমরাই ১৩ টাকার ওপরে ডিম কিনে এনেছি।
রামপুরার এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, খুচরা বাজারে মুরগির দাম নির্ভর করে পাইকারি বাজারের ওপর। আজ পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। তাই আমরাও আগের দামেই বিক্রি করছি। দাম বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার পাইকারি বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করলে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আসবে।
তিনি বলেন, আগে সোনালী মুরগি যখন ৩০০ টাকার (কেজি) ওপরে বিক্রি হয়েছে, সে সময় ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন সোনালি মুরগির কেজি ২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, অথচ ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ টাকা। এর কারণ ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ তুলনামূলক কম। অন্যদিকে সোনালি মুরগির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি।