সোনামসজিদ বন্দরে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৯৪ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫৫

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ দিয়ে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির সাথে সাথে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এই বন্দর থেকে রাজস্ব আয় এসেছে ৩২৪ কোটি ২ লাখ টাকা, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯৪ শতাংশ বেশি।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ১১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সেই তুলনায় চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ২১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। একইসাথে আলোচ্য সময়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছ।
এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মমিনুল ইসলাম বলেন, জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে এই বন্দরের সেবার মান বাড়ানোর ফলে ব্যবসায়ীরা বন্দর ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। বাড়ছে আমদানি-রফতানি, ফলশ্রুতিতে ক্রমান্বয়ে রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সহজ করার জন্য এক দিনে যত বিল অব এন্ট্রি পড়ছে, তার ৯০ শতাংশ ওই দিন বা দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এমনকি কোনো কারণে পণ্য খালাসে বিলম্ব হলে ছুটির দিন শুক্রবারেও সেই পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করা হয়।
সোনামসজিদ স্থল বন্দর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে এই বন্দরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪৮১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম সাত মাসে আয় হয়েছে ৩২৪ কোটি ২ লাখ টাকা। যা সাত মাসের লক্ষ্যমাত্রা ৩০৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৬ কেটি ২২ লাখ টাকা। যা এর আগের অর্থবছরের জানুয়ারির মাসের তুলনায় ৫৯ কোটি টাকা বেশি।
সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে মূলত প্রতিবেশি ভারত থেকে পাথর, চাল, ভুট্টা, ভুসি, পেঁয়াজ, মৌসুমি ফল কমলা ও আঙুর, পোল্ট্রি ফিড, মেশিনারিজ প্রভৃতি আমদানি হয়। অপরদিকে নেট মশারি, পাটের ব্যাগ, পাটের দড়ি, রাইস ব্রান অয়েল ও কিছু গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হয়ে থাকে।