ভিয়েতনামকে হটিয়ে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৪০

ফাইল ছবি
মহামারি করোনার মাঝে কড়া সমালোচনার মুখেও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা কারখানা খোলা রেখেছিলেন। এখন তার ফল পাওয়া যাচ্ছে। তৈরি পোশাকের বিশ্ব বাণিজ্যে চীনের পরের অবস্থান, অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের শেষে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪৭২ কোটি ডলার বেশি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনায় সবকিছু যখন বন্ধ, তখন বিভিন্ন মহলের সমালোচনা মাঝেও অর্থনীতির স্বার্থে ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমতি নিয়ে কারখানা খোলা রাখার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া শ্রমিকদের আপৎকালীন মজুরি পরিশোধে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধ, ভারতে করোনার দীর্ঘ উপস্থিতি ও মিয়ানমারে অস্থিরতার সুফল পেয়ে এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পোশাক খাত।
এক্ষেত্রে দুই ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানে সংস্কার উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাতে। এই দুই ক্রেতা জোটের সংস্কার কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশের পোশাক খাত শিল্প পরিবেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে আছে। আমরা এখানেই থেমে থাকবো না, আমরা আরও ভালো করতে চাই। আমরা এখন নতুন নতুন মার্কেটে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাকের ভিন্নতা আনার চেষ্টা করছি। পোশাকে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি। কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রেনিং কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছর আগে ২০২০ সালে ভিয়েতনামের কাছে দ্বিতীয় প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা হারায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক বেশি রপ্তানি করে এগিয়ে ছিল ভিয়েতনাম। ওই বছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার। আর ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালের মার্চের শুরুতে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কয়েক দফা লকডাউনে মোট ৬৫ দিন পোশাক কারখানা বন্ধ থাকে। এ সুযোগে ভিয়েতনাম পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে যায়।