ডিমে হাফ, মুরগিতে ডাবল আর কাঁচা মরিচে ট্রিপল সেঞ্চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ২০:২৯

ডিম, মুরগি, কাঁচা মরিচ। ছবি: ফাইল
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ফলে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতাদের আক্ষেপ আগের মতো বেচাবিক্রি নেই। আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দামও। প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম রেকর্ড মূল্যে ১৪৫-১৫০ টাকায় উঠেছে। অর্থ্যাৎ হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও জিগাতলা কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছেন। যেখানে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি কেজি প্রতি প্রায় ৪০ টাকা বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে জিগাতলা কাঁচা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আজগর বলেন, পাইকারি দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা কি করব ভাই, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। নিরুপায় হয়েই দাম বাড়িয়েছি।
এদিকে ব্রয়লারের পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। এ জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ টাকা।
দাম বাড়ার মূল কারণ হিসেবে মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধিকে দায়ি করছেন বিক্রেতারা। খামারিদের উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচও বেড়েছে বলে জানান তারা। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ব্রয়লার মুরগির দাম ২৫০-৩০০ টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকা দরে। যেখানে মাত্র এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর টাইন হল বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিনে মুরগির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। মুরগির দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে ডিমে। দাম আরো বাড়তে পারে।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকা কেজিতে। কেউ ১০ বা ২০ টাকার মরিচ চাইলে তা দেওয়া হচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম অনেক বাড়িয়েছে সরকার কাজেই সবকিছুতেই দাম খেয়ে নিচ্ছে গাড়ি ভাড়া।
রাজধানীর বাজারগুলোতে ছোট মাছের আকাল চলছে। আবার বড় মাছে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। ইলিশের দাম ভরা মৌসুমেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন আমরা খাব কী?