
ফাইল ছবি
একটু সুন্দরভাবে ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। সেই জীবন যখন শুধু ঘড়ি ধরা নিয়ম আর অর্থনৈতিকতার শেকলে বাধা পড়ে, হৃদয় শুকিয়ে যায়। রস, মূল্যবোধ বলতে আর কিছুই থাকে না। জীবনকে আরেকটু অর্থপূর্ণ করে তুলতে সময় পেলেই মানুষকে ছুটে যেতে হয় নদীর কাছে, পাহাড়ে। কান পেতে শুনতে হয় গান, আওড়াতে হয় কবিতা। থিয়েটারে বসে প্রেমিকের কাঁধে রাখতে হয় মাথা।একবিংশ শতাব্দীর মানুষের অবশ্য এসবও করা হয়ে ওঠে না।
বই পড়া দূর কী বাত! তারপরও আমাদের ভালো থাকার জন্য যেতে হবে বইয়ের কাছে। বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা দিনের বেশ কিছু সময় কাটান বই পড়ে। বিভিন্ন প্রেরণাদায়ক বইয়ের পাশাপাশি সাহিত্যও থাকে তাঁদের পঠনের তালিকায়। সাহিত্য শব্দটি এসেছে সহিত থেকে। মানুষ ও প্রকৃতিকে জানতে, সমাজবদ্ধ সমাজে তাদের বুঝে চলতে শিল্প ও সাহিত্যের চেয়ে দারুণ কিছু হতে পারে না। সাহিত্য আমাদের নিজের অন্তরের কাছে পৌঁছে দেয়। খুলে দেয় মনের দরজা। গড়ে তোলে আরও মানবিক হিসেবে।
হিত্য জীবনের চেয়ে বড় নয় বটে, তবে ব্যর্থ জীবনকে অর্থপূর্ণ করার প্রয়াস বলা যায়। একটি উপন্যাস শেষ করতে হয়তো আপনার তিনদিন লাগতে পারে, সময় বাঁচাতে আপনি হয়তো ৩ ঘণ্টায় সিনেমা শেষ করে বিনোদন নিতে পারেন। তবে তিন দিনের যে জার্নি, বিস্তারিত বর্ণনা সেটির সঙ্গে ৩ ঘণ্টাকে তুলনা করতে পারবেন না। সাহিত্য আমাদের জীবনে যে রেখাপাত টানে, সৌন্দর্যপিয়াসী করে তোলে সেটির বহিঃপ্রকাশ নিয়েই বরিস পাস্তেরনাক বলেছিলেন,‘সাহিত্য হলো সাধারণদের সম্পর্কে অসাধারণ কিছু আবিষ্কারের শিল্প‘।