Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

এনসিপি কি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে

Icon

কবীর আলমগীর

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১৯:১৭

এনসিপি কি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে

রাজনীতিবিদ মানেই ‘রিটায়ার্ড পারসন’, সাদা পাঞ্জাবি, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া নেতার সাদা চুল কিংবা ‘স্যুটেড-বুটেড’ হয়ে ধীরলয়ে মেপে মেপে কথা বলা। স্বাভাবিক বিচারে এরকম নেতা রাজনীতিতে থাকলে তাকে ‘প্রজ্ঞাবান’ নেতা বলে মেনে নিই। বাংলাদেশ জন্মের লগ্ন থেকে রাজনৈতিক নেতার বিষয়ে ‘কনসেপ্ট’ এরকম দাঁড়িয়ে গিয়েছে।

কিংবা মাঝেমাঝে দুই-একজন কমবয়সী নেতা রাজনীতি শুরু করলেও ‘আশার ঝলক’ নিয়ে আসা তারা নিভে গেছেন কয়েক বছরের মধ্যেই। আশার ঝলকানি দিয়ে রাজনীতি আসা তরুণ নেতাটিও বয়সের ভারে নুয়ে পড়া নেতার সঙ্গে চলতে-ফিরতে স্থবির হয়ে যান অজান্তেই। ফলে ‘থিংক ট্যাংক’ লেভেলে তরুণদের অংশগ্রহণ সবসময় উপেক্ষিত থেকেছে।

বলা যায়, রাজনীতিকে গত ৫৪ বছরের ধারাকে এবার ভেঙে দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদান-অংশগ্রহণকারী তরুণেরা। এরা আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে চুপ করে বসে থাকেনি; এরা সাহস নিয়ে এগিয়েছে আরও একধাপ। সমমনা তরুণেরা মিলে নিজেদের বোঝাপড়া চূড়ান্ত করে অভ্যুত্থানের ৭ মাসের মাথায় একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক তরুণ, তার সারথি আরও শত শত তরুণ। এরা দেখিয়ে দিয়েছে শ্বেতশুভ্র চুল নয়, শ্বেতশুভ্র বসন নয়; টি-শার্ট কিংবা জার্সি পরেও শামিল হওয়া যায় রাজনীতির মিছিলে।

কোনো রাজনৈতিক দলের গোটা নেতৃত্বে তরুণদের এই অংশগ্রহণ শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের বুকে নজিরবিহীন বটে। পৃথিবীর আর কোথাও সমমনা তরুণরা মিলে এরকম একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছে কি না আমার জানা নেই। এই দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, লেখক, গবেষক- সবার লক্ষ্যই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, রাজনীতিতে পুরনো বন্দোবস্তের অবসান ঘটিয়ে নতুন বন্দোবস্ত তৈরি করা। এরা রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার ও পুনর্গঠন চায়। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা ও গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা তাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার। তারা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় একটি দেশ গড়তে চান।

ফিনল্যান্ডের সানা মারিন, নিউজিল্যান্ডের জাসিন্ডা আরডার্ন, ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, চিলির গ্যাব্রিয়েল বরিচ, ইউক্রেনের ভ্লাদিমির জেলেনস্কি- তারা তরুণ বয়সে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে গেছেন। শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়া নয়, তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত, পরিবেশবান্ধব নীতি এবং মানবিক নেতৃত্বের আদর্শ তারা তৈরি করেছেন।

আমাদের তরুণরাও তো পিছিয়ে নেই। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাই ছিল নেতৃত্বে। কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন-সবখানেই তরুণরা দিয়েছে নেতৃত্ব। আমরা আশাবাদী হতে পারি, তরুণদের হাতে ক্ষমতা দিলে রাষ্ট্র মেধাবী, মানবিক ও কার্যকর হতে পারে।

দুঃখজনক হলো- আমাদের দেশের রাজনীতি চলতে চেয়েছে পুরনো ধাঁচে। রাজনীতি হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞদের ‘ক্লোজড সার্কেল’। এই ক্লোজড সার্কেলের ফলে তরুণদের নেতৃত্বের পথ রুদ্ধ হয়েছে। ফলে রাজনীতি ধীরে ধীরে চলে গিয়েছিল খারাপ মানুষের দখলে। এনসিপি এই দশার উত্তরণ চায়।

একদিকে দলকে সংগঠিত করা অন্যদিকে ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে রাজপথে অতন্ত্র প্রহরীর মতো থাকার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে দলটিকে। কেননা রাজনীতিতে পুরনো বন্দোবস্তের ভূত উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। বিএনপির মতো একটি বড় দল ‘নির্বাচন’, ‘নির্বাচন’ দাবিতে প্রতিদিন আওয়াজ তোলায় ব্যস্ত। বিএনপির অবস্থা হয়েছে চুন খেয়ে গাল পুড়ে দই দেখে ভয় পাওয়ার মতো। নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি অনিশ্চয়তার জুজু তাদের ওপর ভর করেছে বলে বিএনপি এরকম দাবি তুলছে তা অনুমেয়। এর থেকেও বড় কারণ ক্ষমতায় আসা।

গত দেড় যুগ বিএনপির মতো বড় একটি দল সরাসরি ক্ষমতার বাইরে। তারা মনে করছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসবে, সরকার গঠন করবে। পুরনো নিয়মেই তারা ক্ষমতায় আসতে চায়, পুরনোভাবে তারা দেশ চালাতে চায়। বিএনপি দেড় যুগ আগেও রাজনীতির যে ছন্দে চলেছে, সেই একই ছন্দে চলতে চাইছে। কিন্তু বিএনপির পুরোনো চাওয়া-পাওয়ার ‘এনকাউন্টার’ শক্তি হয়ে দাঁড়াচ্ছে তরুণদের দলটি। তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন চাইছে, যেন জুলাই অভ্যুত্থানে এত মানুষের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়।

বলা যায়, রাজনীতিতে এই তরুণরা বয়সে তুলনামূলক ‘অনভিজ্ঞ’ তবে তাদের সাহস দুর্বার। তারা এদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। সামাজিক-রাজনৈতিক এমনকি ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমে একটি সাম্য-মৈত্রীর দেশ গঠন তাদের অভিপ্রায়। আমি অগাধ বিশ্বাসী যে, তরুণদের রাজনৈতিক দল ভালো করবে। তারা ঘোষণা দিয়েছে কোনো জোটে তারা থাকবে না অর্থাৎ বড় রুই মাছের পেটে ছোট পুঁটিমাছ হয়ে তারা বসবাস করতে চায় না। তারা হবে স্বতন্ত্র। তাদের নিশ্চয় দূরদর্শী চিন্তা আছে। কেননা এত রক্তক্ষয়, এত আত্মত্যাগ বৃথা যাওয়ার নয়। যদি তরুণরা রাজনীতিতে ভালো করে তাহলে রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, সুবাতাস বইবে। এখন সময় তো, রাজনীতির পুরনো বন্দোবস্তকে ছুড়ে ফেলার। আওয়ামী লীগের প্যারালাল দল বিএনপির মধ্যে পুরনো বন্দোবস্তের ঘ্রাণ মিশে আছে। তাদের রাজনীতিতে নতুনত্বের আভাস খুবই কম। বিএনপি হয়ত নতুনত্ব চায় না, নতুনত্ব চাইলে সন্তানসম তরুণদের কাঁধে হাত রেখে বলতে পারত, চলো, আমাদের যাত্রাপথ এক হোক। রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বিএনপি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিভাবকত্বের ভূমিকাও পালন করতে পারত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তরুণদের রাজনৈতিক দলকে বিএনপি একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা শুরু করেছে। যত দিন যাবে নতুন ও পুরনোর এই দ্বন্দ্ব হয়ত রাজনীতির মাঠে প্রকট হয়ে দেখা দেবে।

এনসিপি বসে নেই, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তুমুলভাবে সক্রিয়। তারা তাদের রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনাকে পৌঁছে দিচ্ছে সাইবার দুনিয়ায়। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের এই জনপদ থেকে ওই জনপদে। এনসিপির নেতারা হাঁটছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে। বিএনপির মতো রাজনৈতিক দল গত ৫০ বছরে যে অবস্থানে এসেছে, সেই একই অবস্থানে রাজনৈতিকভাবে পৌঁছাতে হলে আরও ৫০ গুণ শক্তি নিয়ে এনসিপিকে মাঠে থাকতে হবে। হাতে সময় কম কিন্তু রাজনৈতিক দায়িত্ব অনেক বেশি। এনসিপিকে কথা বলতে হবে কুলি-মজুরের সঙ্গে, কথা বলতে হবে তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে। বোঝাতে হবে তারা পরিবর্তন চান। ভাবতে হবে জনগণ ছাড়া এনসিপি একা, তার রাজনৈতিক কোনো মিত্র নেই। লড়াই করতে হবে একা, টিকে থাকতে হবে একা। সাগরের উত্তাল স্রোতের ভেতর বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার শপথ নিতে হবে এনসিপির প্রতিটি নেতাকর্মীর।

দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু ঘিরে তাদের দলীয় অবস্থান প্রকাশ করেছেন। সেগুলোর সারমর্ম করলে দাঁড়ায় এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম-তার নৈতিকতা ও মানবিকতা এবং বাঙালি মুসলমানের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনচর্চাকে এনসিপি মূল্যায়ন করে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এনসিপি। রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। এনসিপি ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে এবং ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক (Theocratic)—কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ অনুশীলনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া এনসিপির লক্ষ্য। নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন এনসিপির অন্যতম মূলনীতি।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের জন্য একটি সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি মনে করে এনসিপি। এনসিপি এই আধিপত্যবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে। এনসিপি বিশ্বাস করে, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা এনসিপির প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য প্রথম ধাপটি হচ্ছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন।

এনসিপিকে মনে রাখতে হবে, আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। তরুণদের মনোবল ভেঙে দিতে অনেক ষড়যন্ত্র আসবে, সামনে-পেছনে সমূহবিপদ তাড়া করে ফিরবে। এনসিপিকে ঘিরে ধরতে পারে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার। সেই অন্ধকারে আলো ফেলার কাজটি করতে হবে।

এ কথা শোনা যায়, এনসিপি বিকাশের পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের আশীর্বাদ আছে। এমনকি সরকারের দুইজন উপদেষ্টাকে ‘এনসিপি মার্কা’ উপদেষ্টা হিসেবে পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির এক সিনিয়র নেতা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব আরও বাড়বে। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবে।

এনসিপির বিরুদ্ধে একটি কথা প্রায়শই শোনা যায়- এই মুহূর্তে ভোট হলে ‘জামানত’ হারাবে এনসিপি। বিএনপির হাতে মার খেতে খেতে এনসিপি নিঃশেষ হবে, এনসিপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমার প্রশ্ন হলো, এনসিপির নেতারা কী বিষয়গুলো জানেন! যদি জানেন, তাহলে এখনই সাবধান হতে হবে। যদি সত্যিই হয় তাহলে ‘জামানত হারানো’ ভোটকে ‘জামানত রক্ষা’র ভোটে রূপান্তর করতে হবে। শুধু ভালো রাজনীতি করলে হবে না, একটি ‘ভালো ভোট’ কুড়িয়ে নেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এনসিপিকে করতেই হবে। কারণ জনগণই পারবে এনসিপিকে টিকিয়ে রাখতে, বাঁচিয়ে রাখতে। তবেই তরুণরা পারবেন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে।

এনসিপি যুব সংগঠন যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। নেতৃত্বে যারা এসেছেন তাদের কারও সম্পর্কেই কোনো বিতর্ক নেই, এটি আপাতত স্বস্তির খবর। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খুঁজতেও সম্প্রীতি সার্চ কমিটি গঠন করেছে দলটি। একটি সক্রিয় উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি, যারা কাজ করবেন এনসিপির ভ্যানগার্ড হিসেবে। তাদের হতে হতে তারুণ্যে ভরপুর, তরুণ নেতাদের সঙ্গে পা ফেলে চলার দক্ষতা অনিবার্য। উপদেষ্টা মানে ৭০/৮০ বছর বয়স হতে হবে- এমনও না। বেশি বয়স্ক উপদেষ্টাদেরও আমরা চিনি; বিনয় নিয়ে বলি- এরা গ্লুকোমায় ভোগেন, ডিমেনশিয়ায় ভোগেন, দলের মিটিংয়ে ঝিমুনিতে ধরে। ওরা ঘুমিয়ে পড়েন, আর আমাদের কপাল পোড়ে। আগেই বলেছি, এখন যুগ বদলেছে, পুরনো বন্দোবস্তকে ছুড়ে ফেলতে হবে। রাজনীতির প্রথাগত চিন্তা-ধারার ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে।

সামনে রাজনীতিকে ভারী ঝড় বইবে। সেই ঝড়েও তরুণ রাজনীতিবিদদের টিকে থাকতেই হবে। এনসিপির দুই একজন নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি, গাড়ির বহর- প্রভৃতি ইস্যুতে বির্তক উঠেছে সত্য; এ সব থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, এনসিপি ‘তিল’ পরিমাণ অপরাধ করলে তা ‘তাল’ পরিমাণ হয়ে প্রচার হবে। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা সফল হয়নি রাজনীতিবিদদের প্রতারণার কারণে- এ থেকেও শিক্ষা নিতে হবে তাদের। ৯০ ব্যর্থ হতে পারে কিন্তু ২৪ কে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এখনও রক্তের চিহ্ন মুছে যায়নি, এখনও হাসপাতালে অগণিত জুলাই যোদ্ধা। দৃষ্টি হারানো অনেক জুলাই যোদ্ধা তাকিয়ে আছেন আশায় আলোয়। আশা করি, এনসিপি সেই আলো জ্বেলে দেবে।

‘এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।’ আবারও সেই আশঙ্কা মনে করিয়ে দিতে চাই। এনসিপি যদি সত্যি সত্যি হাওয়ায় মিলিয়ে যায় তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কেরা প্রতিনিয়ত অপদস্ত হবেন, মার খাবেন শহিদ পরিবারের প্রতি সদস্য। এনসিপি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের দীর্ঘশ্বাস আরও বাড়বে, ফের জেঁকে বসবে ফ্যাসিবাদ। হয়ত আমাদের কপাল পুড়বে।




Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫