Logo
×

Follow Us

অন্যান্য

ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর নাম আড়াল করার সুযোগ নেই

Icon

আজাদ খান ভাসানী

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১৬:৫৪

ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর নাম আড়াল করার সুযোগ নেই

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটির বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে তখনকার পত্রিকাগুলো লিখতে থাকে। ফলে মওলানা ভাসানী নিজস্ব একটি পত্রিকার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের জুলাইয়ে ঢাকা বার লাইব্রেরিতে আয়োজিত এক সভায় মওলানা ভাসানী ‘ইত্তেফাক’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তাব করলে উপস্থিত চারশত টাকা চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে ইত্তেফাকের প্রথম তহবিল গঠিত হয়।

এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাঁদা তুলে পাঠান। ঢাকার তৎকালীন এডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আলী রেজার কাছ থেকে মওলানা ভাসানী নিজ নামে মাসিক, সাপ্তাহিক ও দৈনিক ‘ইত্তেফাক’-এর ডিক্লারেশন নিয়েছিলেন। সাপ্তাহিক ‘ইত্তেফাক’-এর প্রথম ছাপাখানা ও অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয় আসগর হোসেন এমএলএ-এর ৭৭ মালিটোলার বাসভবন। ১৯৪৯ সালের ১৫ আগস্ট সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাকার কলতাবাজারে অবস্থিত করিম প্রিন্টিং প্রেস থেকে ইত্তেফাক প্রকাশিত হতে থাকে।

তবে সরকারের হয়রানির ভয়ে মুদ্রণালয়গুলো ‘ইত্তেফাক’ ছাপাতে অস্বীকৃতি জানালে এর কার্যালয় পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তাতেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পুনঃসরকারি অনুমোদনকালে মওলানা ভাসানী পত্রিকাটির প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে নিজের নামের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ ইয়ার মোহাম্মদ খানের নাম যুক্ত করেন। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সাপ্তাহিক ‘ইত্তেফাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মওলানা ভাসানী এবং প্রকাশক, মুদ্রাকর ও সম্পাদক হিসেবে ইয়ার মোহাম্মদ খানের নাম প্রকাশিত হতে থাকে। এ সময় ৯ নম্বর হাটখোলা রোডে অবস্থিত প্যারামাউন্ট প্রেস থেকে পত্রিকাটি মুদ্রিত এবং ৯৪ নম্বর নবাবপুর রোড থেকে প্রকাশিত হতো। এরই মধ্যে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান।

ঢাকায় আসার পর তিনি খয়রাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়ার মোহাম্মদ খানের সঙ্গে দেখা করেন এবং ইত্তেফাক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যেহেতু তফাজ্জল হোসেন পূর্বে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ইত্তেহাদ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাই তার সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে মওলানা ভাসানীর নির্দেশে মানিক মিয়াকে ইত্তেফাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ইয়ার মোহাম্মদ খান লিখিতভাবে তাকে পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত করেন। ১৯৫১ সালের ১৪ আগস্ট মানিক মিয়া ইত্তেফাকের নতুন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অচিরেই মানিক মিয়ার সম্পাদনা, ইয়ার মোহাম্মদ খানের সুদক্ষ পরিচালনা এবং আবদুল ওয়াদুদ, আবদুল আওয়াল ও নুরুল ইসলামের সক্রিয় সহযোগিতায় ইত্তেফাক জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিণত হয়।

এখানে উল্লেখ্য, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ঢাকায় ফেরার পর প্রথম দিকে বেকার জীবন যাপন করেছেন। তার উৎসাহ এবং বেকারত্ব উভয় দিক বিবেচনা করেই মওলানা ভাসানী তাকে ইত্তেফাকের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। তা ছাড়া সাংবাদিক হিসেবে তার খোশনামও ছিল। শুরুতে তার পারিশ্রমিক নির্ধারিত হয়েছিল মাসে ‘ষাট টাকা’। তদুপরি সামান্য এই পারিশ্রমিক নিয়মিত প্রদানেরও কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। তাই মওলানা ভাসানী ইত্তেফাকের জন্য যা কিছু সংগ্রহ করতে পারতেন তা সম্পাদকের হাতেই তুলে দিতেন। যার বেশির ভাগ টাকাই পত্রিকার প্রকাশনার কাজে ব্যয় হয়ে যেত। উদ্বৃত্ত অর্থ তফাজ্জল হোসেন নিষ্ঠার সঙ্গে রেখে দিতেন পত্রিকার জন্য, বিশেষ করে মওলানা ভাসানী যদি কখনো গ্রেপ্তার হয়ে যান সে সময়টিতে পত্রিকা পরিচালনার জন্য। কারণ মওলানা ভাসানীই ছিলেন ইত্তেফাকের অর্থের মূল জোগানদাতা।

এ ছাড়া ইয়ার মোহাম্মদ খান, আজগর আলী শাহ (পূর্ব পাকিস্তান সরকারের তদানীন্তন সেক্রেটারি) এবং পরবর্তী সময়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও ইত্তেফাকের জন্য অর্থ জোগান দিতেন। যে সময়ের কথা বলছি তখনো সোহরাওয়ার্দী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হননি। তখন তিনি জিন্নাহর মুসলিম লীগ করতেন। ইত্তেফাক সম্পাদকের পারিশ্রমিক প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করতে না পারলেও মওলানা ভাসানী ঢাকার জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তখনকার আওয়ামী লীগ কর্মীদের কাছে ‘মানিক ভাই গরিব মানুষ’ বলেই পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাই তার কাপড়চোপড় ও বিড়ি-সিগারেটের খরচ বহন করতেন। এভাবেই ইত্তেফাক নিয়মিত প্রকাশ ও তফাজ্জল হোসেনের ঢাকায় প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব হয়েছিল।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক থেকে দৈনিক ইত্তেফাকে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মতে ১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদক নিযুক্ত হন। মওলানা ভাসানী, ইয়ার মোহাম্মদ খান, তফাজ্জল হোসেন সবার লক্ষ্য তখন জনমত গড়ে তুলে মুসলিম লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এদিকে দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশিত হওয়ার পরও গ্রামের সাধারণ মানুষ, যাদের দৈনিক কাগজ কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের কথা চিন্তা করে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক নিয়মিত প্রকাশের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সাপ্তাহিকের সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১৫৭ জন পাক-মার্কিন সামরিক জোটের বিরোধিতা করে মওলানা ভাসানীর পক্ষে বিবৃতি দেন। সেদিন আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাও প্রকাশ্যে মওলানা ভাসানী ও জোট নিরপেক্ষতার বিরোধিতা করেননি। কিন্তু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ইন্ধনে ও সোহরাওয়ার্দীর অনুসারীদের শলাপরামর্শে ইত্তেফাক তার প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ থেকে বেরিয়ে পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির পক্ষে সাফাই গেয়ে প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ করতে থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর প্ররোচনায় প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করে। কারণ মওলানা ভাসানীর বক্তৃতা-বিবৃতি শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, যুক্তফ্রন্টের অনেকেরই অস্বস্তির কারণ ছিল। ইয়ার মোহাম্মদ খান এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হন।

অতঃপর স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ঢাকা জেলার তদানীন্তন প্রশাসক সিলেট নিবাসী ইয়াহিয়া চৌধুরী ১৯৫৪ সালের ১৪ মে গভীর রাতে মওলানা ভাসানী ও ইয়ার মোহাম্মদ খানের অজ্ঞাতসারে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে ইত্তেফাকের প্রকাশক ও মুদ্রাকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ সময় হঠাৎ করেই একদিন দেখা গেল যে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর নাম আর নেই। তদানীন্তন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আশ্রিত কেন্দ্রীয় সরকারের গোপন নির্দেশ এবং কায়েমী স্বার্থবাদীদের কৃপাদৃষ্টি লাভের আশায় মানিক মিয়ার হাত দিয়েই সেদিন এই হীন কাজটি সংঘটিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। কিন্তু সদ্যোবিজয়ী যুক্তফ্রন্ট সরকারের অন্তর্দ্বন্দ্ব যেন কেন্দ্রের হাতিয়ার হয়ে না ওঠে, তার জন্য তিনি বেশি দূর এগোয়নি। তা ছাড়াও নিজের নাম প্রচারে চিরকাল অনিচ্ছুক ভাসানী বিষয়টিতে বিব্রতও হয়েছিলেন। ভাসানীর নাম বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইত্তেফাক তার কঠোর বিরোধিতা করতে শুরু করেনি। বিরোধিতা শুরু হয়েছিল এরও অনেক পরে, ১৯৫৭ সালের দিকে। কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর সাফল্য নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

দৈনিক সংবাদ কোনো দিনই সোহরাওয়ার্দীর কুৎসা রটিয়ে বা তাকে এতটুকু খাটো করে খবর ছাপেনি। সোহরাওয়ার্দীও মওলানা ভাসানী সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো কটূক্তি বা বিরূপ মন্তব্য করেননি। কিন্তু ইত্তেফাকে কাগমারী সম্মেলনের পরের দিন থেকে মওলানার বিরুদ্ধে যে কুৎসা ও অপপ্রচার শুরু হয়েছিল, দেশবাসী তা সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছেন। একদিন যে ইত্তেফাকের ভাষায় মওলানা ভাসানী ছিলেন মজলুম জননেতা, কাগমারী সম্মেলনের পরের দিন থেকে সেই ইত্তেফাকের ভাষায় মওলানা ভাসানী হয়ে গেলেন ‘বিদ্যাবুদ্ধিহীন, মূর্খ, লুঙ্গিসর্বস্ব মৌলবি ও ভারতের দালাল।’

নিজের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচারের জবাবে ১৯৬৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের সন্তোষ থেকে সংবাদপত্রে প্রেরিত এক লিখিত বিবৃতিতে ভাসানী বলেছিলেন, “আমি সাপ্তাহিক ও দৈনিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকার মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলাম কি না, তাহা সরকারি দপ্তরে এবং উভয় পাকিস্তানের হাজার হাজার ইত্তেফাক পাঠকের ঘরে পুরাতন কাগজ অনুসন্ধান করিলেই দেখিতে পাইবেন। সাপ্তাহিক এবং দৈনিক ইত্তেফাকে বড় অক্ষরে লেখা থাকিত ‘প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানী’।

অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আলী রেজার মাধ্যমে ঢাকা কোর্ট থেকে আমি সর্বপ্রথম সাপ্তাহিক, মাসিক ও দৈনিক ইত্তেফাকের ডিক্লারেশন প্রাপ্ত হই। পরে সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের ডিক্লারেশন ইয়ার মোহাম্মদ খানের নামে পরিবর্তন করি। কী কারণে কী অবস্থায় আমার কাগজ আমার বিনানুমতিতে হস্তান্তরিত হইয়াছে, তাহাও আজ পর্যন্ত আমি কাহারও নিকট ব্যক্ত করি নাই। কিন্তু প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক আমি ছিলাম, তাহা পাক-ভারতের কোটি কোটি মানুষ অবগত আছেন।

১৯৫৭ সালে কাগমারী আওয়ামী সম্মেলনে যখন আমি পাক-মার্কিন যুদ্ধজোটের বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াইয়া বৈদেশিক নীতি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করার প্রস্তাব করি, তখনো আমার বিরুদ্ধে দেশময় প্রচার করা হয় যে, আমি হিন্দুস্তানের দালাল ও হিন্দুস্তানের অর্থে রাজনীতি করি। বর্তমানেও এক শ্রেণির লোক প্রচার করিতেছে যে, বিভিন্ন লোকের নিকট হইতে আমি লক্ষ লক্ষ টাকা পাইয়াছি। এই অপপ্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে আমি পাকিস্তান সরকার ও দেশবাসীর নিকট দাবি করিতেছি যে, আপনারা সারা পাকিস্তান তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করুন যে, আমার নিজস্ব বাড়ি-ঘর, জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কোন ব্যাংক ব্যালেন্স আছে কি না...।”

ইত্তেফাক প্রকাশনায় তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যে শ্রম দিয়েছেন, যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জাতি তা অবশ্যই কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। কিন্তু ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মওলানা ভাসানীর নাম আড়াল করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণের এক আনা-দুই আনা করে দেওয়া টাকায় যে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তার প্রকৃত মালিকও জনগণ। আর যার হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেই মওলানা ভাসানীই থাকবেন এর প্রতিষ্ঠাতা। ইতিহাসের এই যুগসন্ধিক্ষণে আমরা এই কূপমণ্ডূক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাই না। ইতিহাসকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এ সময়ের প্রকৃত চ্যালেঞ্জ। তাই ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাম পুনঃস্থাপন আজ সময়ের দাবি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫