
টিকটক। ছবি: সংগৃহীত
অনেক দিন ধরেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এর প্রভাব পরেছে চীনা কোম্পানিগুলোতে। চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিও এর থেকে বাদ যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেই টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের এই সমস্যার কোনো সমাধানের দেখা মিলছে না। সর্বশেষ উইসকনসিন এবং নর্থ ক্যারোলিনাতে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। এই দুই রাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২২টি অঙ্গরাজ্যে টিকটক নিষিদ্ধ।
লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, সাউথ ডাকোটা, ইন্ডিয়ানা এবং আরও অনেক রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসিয়াল ডিভাইসে টিকটক ইনস্টল করার অনুমতি নেই। এছাড়া রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার এবং তার কর্মকর্তাদের ফোনেও টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন।
টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্সে একটি অভ্যন্তরীণ সিসিপি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি চীনা সরকারের কাছে ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীন তথ্য ফাঁস করতে পারে, এমনই ঝুঁকি আশংকা করছে মার্কিন সরকার। হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-র মতো আরও কয়েকটি চীনা সংস্থাকে সরকারী প্রকল্প থেকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটি।
নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর রয় কুপার অন্য কিছু চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ইঙ্গিত দিলেও উইসকনসিনের গভর্নর টনি এভারস এখনো তেমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
টিকটক নিষিদ্ধ করার পর কুপার জানান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণে সক্রিয় দেশগুলোর থেকে রাষ্ট্রীয় তথ্য রক্ষা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার হুমকি থেকে নর্থ ক্যারোলিনার জনগণের সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। নর্থ ক্যারোলিনাতে চীনের আরেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটও নিষিদ্ধ।