
প্রতীকী ছবি
আধুনিক জীবনে ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করতে, প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান করতে ফোন ব্যবহার করা হয়। তবে একটু পুরাতন হলেই ফোনে দেখা দেয় নানা অসুবিধা। বিশেষ করে দেখা দেয় হ্যাং হওয়ার সমস্যা।
শুধু পুরাতন হলেই নয় ব্যবহারে অসচেতন হলেও ফোন হ্যাং হয়। এতে অনেক সময় বিপদে পড়তে হয়। কাজে ও যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটে।
কয়েকটি পদ্ধতি
অনুসরণ করলে ফোনের হ্যাং এড়ানো সম্ভব:
১. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করতে হবে। মোবাইলে এমন কয়েকটি অ্যাপ থেকে যায়, যা আনইনস্টল করা যায় না। তবে সেসব প্রি-ইনস্টল ইনবিল্ড অ্যাপকে আনইনস্টল করা না গেলেও ডিজেবল করা যায়। এতে মোবাইলের স্পেস বাঁচে। ফলে স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২. বাজারে কিছু ফোন আছে যেগুলোতে গ্ল্যান্স লকস্ক্রিনের অপশন থাকে।
সময়ে-অসময়ে এই
লকস্ক্রিনের ওয়ালপেপারই নিজে থেকে বদলে যায়। সেই ওয়ালপেপারের সাথে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনও দেখা যায়।
এই গ্ল্যান্স সবসময়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, এবং প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি ও ডেটা ক্ষয় করতে থাকে।
Settings অপশনে গিয়ে এই থার্ড পার্টি অ্যাপটিকে বন্ধ করে দেওয়া যায়। এতে আপনার ফোনের স্পিড অনেকটাই বাড়বে।
৩. মোবাইল ফোনের বড় স্টোরেজ দখল করে থাকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম।
বিশেষত ৪জিবি ইন্টারনাল র্যাম বিশিষ্ট ফোনগুলোর ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যা তৈরি করে বড় সাইজের অ্যাপগুলো। সেক্ষেত্র এই সব অ্যাপগুলোর
লাইট ভার্সন ব্যবহার করা যায়, এতে স্টোরেজ এর সাথে বাঁচবে ডেটাও।
৪. অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাবাউটঅপশনে যান, সেখানে গিয়ে বিল্ডার অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে গিয়ে উইন্ডোজ অ্যানিমেশনে ক্লিক করলে প্রতিটি অ্যানিমশন মোডের স্পিড কমিয়ে ০.৫এক্স করে দিতে হবে। অ্যানিমেশন স্পিড কমালে মোবাইলের স্পিড বাড়বে।