কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের করে যেকোনো প্রশ্নের গোছানো উত্তর দিতে সক্ষম চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবন করে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। সেই ওপেনএআইয়ে এবার অন্তর্বর্তীকালীন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মিরা মুরাতি। 

দায়িত্ব পেয়েই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে একের পর এক যুগান্তকারী সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ৩৪ বছর বয়সী এই নারী। ওয়াশিংটন ও ইউরোপে প্রতিষ্ঠানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কীভাবে কাজ করবে, সেই নীতিনির্ধারণে কাজ করছেন তিনি। 

এছাড়াও সময়মতো চ্যাটজিপিটির আধুনিকায়ন ও হালনাগাদ নিশ্চিত করছেন মিরা মুরাতি। মাইক্রোসফট ও প্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের সম্পর্ক দেখভাল করেছেন। 

মিরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে ওপেনএআইয়ের শীর্ষপর্যায়ে কর্মরত আছেন। একইসঙ্গে চ্যাটজিপিটি ও ডাল-ই এর মতো যুগান্তকারী সব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেছেন। একই প্রতিষ্ঠানে চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। 

মিরাকে কোম্পানিটির অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে ওপেনএআই এক বিবৃতিতে বলেছে, মিরা পাঁচ বছর ধরে ওপেনএআই-এর নেতৃত্ব দলের সদস্য। মিরা ওপেনএআই-এর বিবর্তনে বিশ্বব্যাপী এআই নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অনন্য দক্ষতার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন তিনি। কোম্পানির মূল্যবোধ, কার্যক্রম এবং ব্যবসা সামলেছেন এবং ইতিমধ্যেই কোম্পানির গবেষণা, পণ্য এবং নিরাপত্তা ফাংশনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ 

মিরা মুরাতির জন্ম আলবেনিয়ায়, তবে তিনি বড় হয়েছেন কানাডায়। তার মা-বাবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। যুক্তরাষ্ট্রের ডার্থমাউথ কলেজে পড়াশোনার সময় হাইব্রিড রেসিং কার তৈরি করে যন্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন মিরা।

এরপর মিরা ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলায় ‘মডেল এক্স’-এর সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি স্টার্টআপ কোম্পানি লিপ মোশনে প্রোডাক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন।

২০১৮ সালে অ্যাপ্লায়েড এআই এবং পার্টনারশিপের ভিপি হিসাবে ওপেনআইয়ের সাথে যুক্ত হন মিরা। ২০২২ সালে সিটিও হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি চ্যাটজিপিটি, টেক্সট-টু-ইমেজ এআই ডাল-ই এবং কোড-জেনারেটিং সিস্টেম কোডেক্স-এর মতো যুগান্তকারী সব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদান রেখেছেন।

ওপেনএআই এক বিবৃতিতে বলেছে, মিরার অনন্য সব দক্ষতা রয়েছে। একজন স্থায়ী সিইও খুঁজে বের করার আগ পর্যন্ত তিনি এই নবনিযুক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।