Logo
×

Follow Us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

নাগরিকের তথ্য ফাঁস, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫

নাগরিকের তথ্য ফাঁস, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রতীকী ছবি।

নির্বাচন কমিশনের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত এসব নাগরিকের তথ্য ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেআইনিভাবে দেশী-বিদেশী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ।

গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম।

তিনি জানান, ৪ অক্টোবর ২০২২ তারিখে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য উপাত্ত কোন অবস্থাতেই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা বিক্রি করতে পরবে না।

তিনি আরো জানান, সেই চুক্তি অনুসারে ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি তৈরি করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপিটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য প্রদান করে। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত এই তথ্যসমূহ porichoy.gov.bd/ নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৮০ টিরও বেশি দেশী-বিদেশী, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত  অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছে।

তিনি জানান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বচন কমিশন সচিবালয়ে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ডাটা সেন্টারটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্বীকৃত। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন কোম্পানিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে উক্ত পরিকাঠামো থেকে উপাত্ত ভাণ্ডারের (ডাটাবেজ) অনুলিপি সংগ্রহ করে স্থানান্তর করে এবং ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক প্রতারণা করে। এছাড়াও তারা ব্যক্তির আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতীত ব্যক্তিগত নাগরিক তথ্যাদি অবৈধভাবে সংগ্রহ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারে ২০ হাজার কোটি টাকার ই-ট্রানজেকশনের তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আজ গ্রেপ্তারকৃতসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫