
প্রতীকী ছবি
বিশ্বকে বদলে দিয়েছে প্রযুক্তি। আর বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জয়জয়কার চলছে। চ্যাটজিপিটি দিয়ে এখন লিখে ফেলা যায় সম্পূর্ণ একটি রচনা। প্রযুক্তির কল্যাণে শিক্ষা যেন আরও সহজ হয়ে উঠেছে। ইউটিউবে কেবল বিষয় লিখে সার্চ করলেই চলে আসে হাজার হাজার টিউটোরিয়াল। এখানে কয়েকটি গ্যাজেটের কথা তুলে ধরা হলো, যেগুলো একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাকে আরও সহজ করে তুলতে পারে।
ই-রিডার
বর্তমানে খুব সহজে ই-রিডারে বইসহ বিভিন্ন নথি পড়া যায়। তাই একজন শিক্ষার্থীর জন্য ই-রিডার বেশ সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে যেসব কোর্সের জন্য অনেক বই পড়তে হয়। এ ছাড়া ই-রিডারে যে কোনো লেখা হাইলাইট করে পড়ার সুবিধা আছে। আবার হালকা হওয়ায় সহজে বহন করা যায়, যেখানে-সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়।
ট্যাব
এখনতো শিক্ষার্থীর ওজনের চেয়ে তার বইয়ের ব্যাগের ওজন বেশি থাকে; তাদের থাকে অসংখ্য পাঠ্যপুস্তক আর সেগুলো নিয়েই স্কুলে যেতে হয়, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। তাই তাদের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে ট্যাবলেট বা ট্যাব। একটি ট্যাবে সব নোট ও অ্যাসাইনমেন্ট সংরক্ষণ করে রাখা যায়। সেগুলো আবার খুব সহজে খুঁজেও পাওয়া যায়।
এয়ারবাড বা হেডফোন
অতিরিক্ত কোলাহল সবসময় বিরক্তিকর হয়। বিশেষ করে একাডেমিক কাজের সময়। আবার জনবহুল পরিবেশে হইচই কিংবা রুমমেট উচ্চস্বরে কথা বলা, গান শোনা ইত্যাদি কারণেও একাডেমিক কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই এ সময় মনোযোগ ধরে রাখতে নয়েজ ক্যানসেলেশন ফিচারযুক্ত ইয়ারবাড বা হেডফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। তা হলে কোনো শব্দ বিরক্ত করবে না।
পাওয়ারব্যাংক
অনেক শিক্ষার্থী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের দিনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দেন। সেই সঙ্গে অনেকটা সময় যাতায়াতের মধ্যে থাকতে হয়। এ অবস্থায় ডিভাইসগুলো চার্জ দেওয়ার উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যুৎবিভ্রাট বা জরুরি মুহূর্তে ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য সবসময় একটি পোর্টেবল পাওয়ারব্যাংক রাখা জরুরি। বেশির ভাগ পাওয়ারব্যাংক ডিভাইসকে একদিনে একাধিকবার চার্জ করতে সক্ষম, যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী।