
সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে টেক জায়ান্টদের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সেই গানের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই- পৃথিবী বদলে গেছে, যা দেখি নতুন লাগে... আসলেই পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে পুরো বিশ্ব যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যেমন ধরুন- কোনো তথ্য খোঁজা। আগে বইয়ে পৃষ্ঠা উলটেপালটে তথ্য খুঁজে বের করতে হতো। আর এখন শুধু কি-ওয়ার্ডে লিখে কোনো সার্চ ইঞ্জিনে দিলেই চলে আসে কয়েক হাজার তথ্য।
সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে টেক জায়ান্টদের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। আগে সবাই গুগলে সার্চ করত। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এখন মানুষ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তথ্য সার্চ করে। তাই গুগলের যে একক আধিপত্য ছিল তা অনেকটাই কমে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গুগলের দাপট আগের চেয়ে কমে যাওয়ার পেছনে কাজ করেছে মূলত কিছু সামাজিক মাধ্যম। তাই গুগল এখন উঠেপড়ে লেগেছে, জোর দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে। পিছিয়ে নেই অন্যরাও। গুগলকে মোকাবিলায় তারা এআই নিয়ে কাজ করছে। আর এর পেছনে মূলত কাজ করেছে তরুণ প্রজন্ম বা জেন-জি।
ইন্টারনেট ব্যবহারে জেন-জি বেশ এগিয়ে আছে। মূলত এই জেনারেশনটা ইন্টারনেট নির্ভর প্রজন্ম। তারা গুগলে সার্চ না করে টিকটক, ইনস্টাগ্রামে গিয়ে সার্চ করে। এজন্য গুগলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই তরুণ প্রজন্ম।
গবেষণায় জানা গেছে, তরুণ প্রজন্মের ৪৫ শতাংশ টিকটক বা ইনস্টাগ্রাম সার্চ করছে। সেখানে তারা সব ধরনের তথ্য সহজে পেয়ে যাচ্ছে। আলাদা করে নতুন কোনো লিংকে গিয়ে দেখতে হয় না। এ ক্ষেত্রে পুরো সুযোগটা নিচ্ছে টিকটক। তাদের ফিচারগুলো তরুণরা গ্রহণ করেছে বেশি।
তবে তরুণ প্রজন্ম যে গুগল থেকে দ্রুত অন্যদিকে সরে যাবে তা প্রযুক্তিবিদরা ভাবতে পারেননি। সামাজিক মাধ্যম যে সার্চ ইঞ্জিন হয়ে উঠবে সেই ভাবনাও অনেকের মাথায় আসেনি। কিন্তু জেন-জি প্রজন্ম সেই কাজটাই করেছে। সময় বাঁচাতে তারা তথ্য খুঁজতে সামাজিক মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছে। গুগলে অনেক অনেক লিংক আসে। তাই সেখান থেকে বাছাই করে লিংকে ঢুকতে হয়। এই ঝামেলা নিতে চায় না জেন-জি। অন্যদিকে টিকটক বা ইনস্টাগ্রামে সার্চ করলে অনেক তারকার পোস্ট চলে আসে। যে কারণে সহজেই তাদের বিশ্বাস করা যায়, আবার তথ্যগুলোও সহজে জানা যায়।
গুগলও এখন চেষ্টা করছে তাদের সার্চ ইঞ্জিনকে আরও আপডেট করতে। তারা নতুন নতুন ফিচার যোগ করছে। যেমন মাল্টি সার্চ ফ্যাসিলিটি। এই ফিচারটির মাধ্যমে ছবি ও টেক্সট দুভাবে সার্চ করা যাবে। সার্চ ইঞ্জিনের আধিপত্য ফিরে পেতে গুগলকে ভালোই লড়াই করতে হবে।