সম্প্রতি নতুন কিছু আপডেট এনেছে ইন্টাগ্রাম। তারা চালু করেছে নতুন ফিচার প্রোফাইল কার্ড। জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম। তারকাদের কাছে এই মাধ্যমটি সবচেয়ে প্রিয়। এই জনপ্রিয়তার মূল কারণ ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে এখান থেকে ভালো আয় করা যায়। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমটি পণ্য ও সেবা প্রচারেও ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ড মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের ইনস্টাগ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। এই ফিচারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রোফাইল কার্ড’। এই ফিচারটি প্রোফাইলের জন্য ডিজিটাল বিজনেস কার্ডের মতো কাজ করবে। এখন থেকে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ব্যবসার প্রচার অথবা প্রোফাইল শেয়ারে প্রোফাইল কার্ড করতে পারবেন।

যেভাবে প্রোফাইল কার্ড তৈরি করা যাবে

প্রথমে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে যেতে হবে। তারপর প্রোফাইলে ঢুকতে হবে এবং ‘শেয়ার প্রোফাইল’ নির্বাচন করতে হবে। তাহলে প্রোফাইল কার্ড চলে আসবে। সেখানে ওপরের ডান কোণে পেনসিল আইকনে ট্যাপ করে কার্ড সম্পাদনা করা যাবে। কার্ডের একপাশে কিউআর কোড থাকবে এবং অন্যদিকে লিংক, ছবিসহ অন্যান্য তথ্য থাকবে। এরপর চাইলে সেই কার্ডটি ডাউনলোড ও শেয়ার করা যাবে।

ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীরা যেন সহজে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে সেজন্য প্রোফাইল কার্ড ফিচার চালু করা হয়েছে। তাই প্রোফাইলের লিংক পাঠানোর পরিবর্তে কার্ডটি শেয়ার করলেই হবে।

এ ছাড়া সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম বেশকিছু নতুন আপডেট নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে আছে সংক্ষিপ্ত ভিডিও সম্পাদনা ও অডিও টুল, অ্যাপের মধ্যে সরাসরি ব্রাউজ ও শপিং করা, ফলোয়ারদের কাছে দ্রুত টেক্সট আপডেট পৌঁছাতে ইনস্টাগ্রাম নোটস। মূলত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ও ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে এসব আপডেট আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভার্জ।

প্রোফাইল কার্ডের কাজ

আগেই বলেছি, প্রোফাইল কার্ড ফিচার ব্যবহার করে ডিজিটাল বিজনেস কার্ড তৈরি করা যাবে। যেখানে একজন ব্যবহারকারীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের নাম ও একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কোডটি স্ক্যান করে যে কেউ সহজেই প্রোফাইলটি খুঁজে পাবে। এ ছাড়া সেখানে ওয়েবসাইট, ঠিকানাসহ নানান তথ্য যোগ করা যাবে। অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের লিংক যোগ করা যাবে। সব তথ্য যোগ করার পর কার্ডটি নিজের মতো ডিজাইন করা যাবে।