Logo
×

Follow Us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

গাড়ির নাম্বার প্লেটে বর্ণমালা কেন ব্যবহার করা হয়?

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২০, ১৫:১৪

গাড়ির নাম্বার প্লেটে বর্ণমালা কেন ব্যবহার করা হয়?

যে কোনো গাড়ির পেছনে বা সামনে বিভিন্ন ধরনের নাম্বার প্লেট থাকে। সেখানে থাকে জেলার নাম, নাম্বারসহ আরো একটি বর্ণ। তবে অনেকেই জানে না কোন কারণে এই বর্ণমালা গুলো ব্যবহার করা হয়। 

রাজপথে বৈধভাবে গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় সরকারি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-এর অনুমোদন। বিআরটিএর অনুমোদিত সকল যানবাহনে নাম্বারপ্লেট ব্যবহারের নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালে। আসলে এই নাম্বার প্লেট কি অর্থ বহন করে?

বাংলাদেশের যানবাহনগুলোর নাম্বার প্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে- শহরের নাম-গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার। যেমন- ঢাকা মেট্রো য-১১২৫৯৯। এখানে ‘ঢাকা মেট্রো’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আওতাধীন।

‘য’ হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন সব গাড়ি ‘য’ বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী ‘১১’ হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং ‘২৫৯৯’ হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।

সাধারণত বাংলা বর্ণমালার ‘অ, ই, উ, এ, ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ত, থ, ঢ, ড, ট, ঠ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, স, হ অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হয়। উপরের প্রতিটি বর্ণ আলাদা আলাদা গাড়ির পরিচয় বহন করে।

এগুলো দ্বারা কী বোঝায়:

ক- ৮০০ সিসি প্রাইভেটকার।

খ- ১০০০-১৩০০ সিসি প্রাইভেটকার।

গ- ১৫০০-১৮০০ সিসি প্রাইভেটকার।

ঘ- জীপগাড়ি।

চ- মাইক্রোবাস।

ছ- মাইক্রোবাস/লেগুনা (ভাড়ায় চালিত)।

জ- বাস (মিনি)।

ঝ- বাস (কোস্টার)।

ট- ট্রাক (বড়)।

ঠ- ডাবল কেবিন পিকআপ।

ড- ট্রাক (মাঝারী)।

ন- পিকআপ (ছোট)।

প- ট্যাক্যি ক্যাব

ভ- ২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার।

ম- পিকআপ (ডেলিভারী)।

দ- সি এন জি (প্রাইভেট)।

থ - সিএনজি (ভাড়ায় চালিত)।

হ- ৮০-১২৫ সিসি মোটরবাইক।

ল- ১৩৫-২০০ সিসি মোটরবাইক।

ই - ট্রাক (ভটভটি)।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫