আইফোনের iOS 18.1 আপডেটে নতুন ও বহুল প্রত্যাশিত ইন্টিগ্রেটেড কল রেকর্ডিং অপশন ফিচার যুক্ত করেছে অ্যাপল। যা অনেক আইফোন ব্যবহারকারী দীর্ঘদিন ধরে চেয়ে আসছিলেন।

যদিও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে নেটিভ কল রেকর্ডিং সুবিধা উপভোগ করলেও অ্যাপল এতদিন তাদের গোপনীয়তা বিধি এবং আইনগত জটিলতার কারণে এ ফিচার থেকে দূরে ছিল। 

কল রেকর্ডিং ফিচারটির কাজ

iOS 18.1-এর কল রেকর্ডিং ফিচারটি সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব, যাতে গোপনীয়তার সঙ্গে আপস না করেই এটি ব্যবহার করা যায়।

কল করার সময় বা কল গ্রহণ করার সময়, ব্যবহারকারীরা কল ইন্টারফেসে একটি “Record” বাটন দেখতে পাবেন। এ বাটনে চাপ দিলে রেকর্ডিং শুরু হয়ে যাবে। পুরো কলের অডিও সংরক্ষিত হবে।

কল শেষ হলে, ব্যবহারকারীরা Notes অ্যাপে একটি আলাদা ফোল্ডারে রেকর্ডিংগুলি দেখতে পাবেন। যেখানে সংরক্ষণ ও প্লেব্যাকের জন্য পরিচিত একটি ইন্টারফেস রয়েছে।

গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা: 

অ্যাপল সর্বদা গোপনীয়তার জন্য পরিচিত এবং iOS 18.1-এর কল রেকর্ডিং ফিচারও এর ব্যতিক্রম নয়। কল রেকর্ডিংয়ের আইনগত এবং সম্ভাব্য গোপনীয়তার বিষয়ে চিন্তা করে অ্যাপল বিভিন্ন সতর্কতা নিয়েছে:

১. স্বচ্ছতার নোটিফিকেশন: যখনই রেকর্ডিং শুরু হয়, উভয় পক্ষকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হয়। এতে করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয় এবং গোপনীয়তা রক্ষা হয়। যেহেতু অনেক দেশে রেকর্ডিংয়ের আগে সব পক্ষের সম্মতি আবশ্যক।

২. এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন: রেকর্ডিংগুলো একই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত যা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে রক্ষা করে। এর ফলে, রেকর্ডিংগুলো শুধুমাত্র অরিজিনাল ডিভাইসে থাকবে।

৩. ভৌগোলিক অবস্থান ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা: কল রেকর্ডিং নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আইন থাকায়, ফিচারটি সব অঞ্চলে প্রয়োগ নাও হতে পারে। অ্যাপল ভূ-অবস্থান অনুযায়ী এ ফিচারটি নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।

যদিও iOS 18.1 এর নতুন কল রেকর্ডিং ফিচারটি বহুল প্রত্যাশিত। তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সকল পক্ষের নোটিফিকেশনের কারণে এটি কিছু ব্যবহারকারীর জন্য অপেক্ষাকৃত কম গোপনীয় হতে পারে। তবে, অ্যাপল ফিচারটি এমনভাবে ডিজাইন করেছে যাতে ব্যবহারকারীরা কোনও নৈতিক বা আইনগত উদ্বেগ ছাড়াই এ সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারেন।