নতুন স্মার্টফোন কেনার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে হোক আর না বুঝেই হোক কম বেশি সবাই স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগান। স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগানোর নানাবিধ সুবিধা। এই প্রটেক্টর আপনার ফোনের ডিসপ্লেকে সুরক্ষিত রাখবে। ডিসপ্লেতে অযাচিত আচড় বা ক্র্যাক থেকে সুরক্ষিত রাখবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নতুন ফোনে কি আদৌ স্ক্রিন প্রটেক্টরের প্রয়োজন?

বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোর বেশিরভাগই কর্নিং গরিলা গ্লাসের মতো শক্তিশালী এবং স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী কাচ দিয়ে তৈরি। বিশেষত, দামি মডেলগুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায়। যা স্ক্র্যাচ বা হালকা চাপ থেকে স্ক্রিনকে সুরক্ষা দেয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই নতুন ফোনে স্ক্রিন প্রটেক্টরের প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে কখন স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগানো উচিত?  

আপনি যদি ফোনের ব্যাপারে উদাসীন হন: আপনার ফোন যদি প্রায়ই হাত থেকে পড়ে যায় বা আপনি ফোন চাবি ও কয়েন একসঙ্গে একই পকেটে রাখেন, তাহলে স্ক্রিন প্রটেক্টর একটি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা স্তর।

দীর্ঘদিন ফোন ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকলে: ফোন বছরের পর বছর নতুনের মতো রাখতে স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করুন। এটি স্ক্রিনকে স্ক্র্যাচমুক্ত রাখে। 

বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন হলে: অ্যান্টি-গ্লেয়ার, ব্লু লাইট ফিল্টার বা প্রাইভেসি প্রটেক্টর যুক্ত স্ক্রিন প্রটেক্টর নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কার্যকর।

তবে স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সেগুলো হলো- 

1. ঠিকমতো বসানো না হলে বুদবুদ দেখা দিতে পারে।
2. কম দামের স্ক্রিন প্রটেক্টর টাচস্ক্রিনের সংবেদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে।
3. ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা ও রঙে প্রভাব ফেলতে পারে।

সুতরাং, যদি আপনার ফোন কর্নিং গরিলা গ্লাস দিয়ে সুরক্ষিত থাকে এবং আপনি সতর্ক ব্যবহারকারী হন, তবে স্ক্রিন প্রটেক্টর ছাড়া চলা সম্ভব। তবে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষার জন্য টেম্পারড গ্লাস সবচেয়ে উপযুক্ত।