মালদ্বীপের কাছে আছড়ে পড়ল চীনের রকেটের ধ্বংসাবশেষ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২১, ১১:২১

লং মার্চ ফাইভবি রকেটটি ২৯ এপ্রিল চীনের ওয়েনচং থেকে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। ছবি : বিবিসি
চীনের বৃহত্তম রকেট ‘লং মার্চ ফাইভবি ইয়ো-২’র ধ্বংসাবশেষ মালদ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরের একটি অংশে আছড়ে পড়েছে। চীনের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, আজ রবিবার (৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রকেটটির ধ্বংসাবশেষ মালদ্বীপের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে পুনরায় প্রবেশ করে। এরপর সেটি ভারত সাগরে আছড়ে পড়ে।
বিশাল আকৃতির অনিয়ন্ত্রিত ওই রকেটটির পৃথিবীর দিকে আসার বিষয়টি নজরদারিতে রাখছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ট্র্যাকিং সাইটগুলো। গত মাসে এই রকেটটি চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের একটি অংশ নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
চায়না ম্যানড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোয় খবর প্রকাশ করা হয়েছে যে, রকেটের অবশিষ্টাংশ ভারত মহাসাগরে পড়েছে, যদিও বড় একটি অংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধ্বংস হয়ে গেছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সমুদ্রে অবশিষ্ট অংশগুলো পড়েছে। সাগরের যে অংশে রকেটের টুকরো পড়েছে বলে বলা হচ্ছে, তা মালদ্বীপের কাছাকাছি পশ্চিমে অবস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তথ্য গ্রহণ করে পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা স্পেস-ট্রাক রকেটের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক টুইট বার্তায় সংস্থাটি বলছে, যারা লং মার্চ ফাইভবি-র পৃথিবীতে প্রবেশের বিষয়টি নজরদারি করছিলেন, তারা সবাই এখন আরাম করতে পারেন। রকেটটি ধ্বংস হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছিলেন যে, রকেটের টুকরোগুলো পৃথিবীর সমুদ্রেই পড়তে যাচ্ছে, যেহেতু পৃথিবীর ৭০ শতাংশই পানি। তবে অনিয়ন্ত্রিত এই রকেটের পৃথিবীর দিকে আসার ঘটনায় অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, কারণ সেটি ক্ষয়ক্ষতি বা কাউকে হতাহত করতে পারে। যদিও সেই সম্ভাবনা খুব কমই ছিল।
কক্ষপথ থেকে রকেট পড়ে যাওয়ার জন্য চীনের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
গত বছর আরেকটি লং মার্চ রকেটের একটি টুকরো পড়েছিল আইভরি কোস্টের একটি গ্রামে, যেখানে কোন হতাহত না হলেও স্থাপনার ক্ষতি হয়েছিল। -বিবিসি